উত্তাল চবি ক্যাম্পাস

image_100389_1719793514.webp

দেশের তথ্য ডেস্কঃ

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশনসংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতি।

রোববার (৩০ জুন) পূর্বনির্ধারিত নির্দেশনা অনুযায়ী পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। এ সময় প্রত্যেক বিভাগেই পরীক্ষা ছাড়া সব ক্লাস নেওয়া থেকে বিরত থাকেন তারা। ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে বলে জানিয়েছেন সমিতির নেতৃবৃন্দ।

অন্যদিকে রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির কার্যালয়ে বিভন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা কর্মবিরতি পালন করেন।

এ সময় বক্তারা ‘বৈষম্যমূলক’ প্রত্যয় স্কিম থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহকে বাদ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এ স্কিমের কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলোতে যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে তা গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য হুমকিপূর্ণ বলে জানান বক্তারা।

আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের আহ্বানে ১, ২ ও ৩ জুলাই পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন অফিসার সমিতির সভাপতি জনাব রশিদুল হায়দার জাবেদ।

এদিকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রণীতব্য অভিন্ন নীতিমালা বাতিলের দাবিতে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মানববন্ধন করতে দেখা গেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতিকেও।

এ সময় বক্তারা বলেন, ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত একনাগাড়ে কর্মবিরতিতে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা।

Share this post

PinIt
scroll to top