ছেলের মরদেহ নিয়ে ফেরার পথে লাশ হলেন মা

image_100219_1719748959.webp

দেশের তথ্য ডেস্কঃ

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ছেলে আলম তালুকদারের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে ফিরছিলেন পুষ্প বেগম। বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেল ও অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে নিজেও লাশ হলেন পুষ্প বেগম। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী একজনও নিহত হয়েছেন।

রোববার (৩০ জুন) সকালে বরগুনার আমতলী উপজেলার ডাক্তার বাড়ি মোড় এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- আমতলীর আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের মোটরসাইকেলচালক রুবেল সিকদার ও অ্যাম্বুলেন্সে থাকা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের গান্ডামাড়ি এলাকার পুষ্প বেগম।

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত পুষ্প বেগমের ছেলে আলম তালুকদার বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৯ জুন) রাতে মারা যান। ছেলের মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের গান্ডামারা গ্রামে ফিরছিলেন পুষ্প বেগম।

শনিবার সকাল ৬টার দিকে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলীর ডাক্তার বাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলচালক রুবেল সিকদার নিহত হন। অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে পুকুরে পড়ে যায়। স্থানীয়রা অ্যাম্বুলেন্সে থাকা মা পুষ্প বেগমকে মৃত অবস্থায় এবং অন্যদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে।

নিহত পুষ্প বেগমের ভাই রহিম তালুকদার বলেন, আমার ভাগ্নে আলম হাওলাদার লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে। ভাগ্নের লাশ নিয়ে আমার বোন পুষ্প বেগম বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় বোন নিহত হয়েছেন।

ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, অ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্ধার করে।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত রুবেল সিকদার, পুষ্প বেগম ও অ্যাম্বুলেন্সে থাকা আলম তালুকদারের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আইনিপ্রক্রিয়া শেষে লাশ তিনটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Share this post

PinIt
scroll to top