গৃহকর্মীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের অভিযোগে চিকিৎসক গ্রেপ্তার

image_100145_1719722399.webp

দেশের তথ্য ডেস্কঃ

গাজীপুরের শ্রীপুরে ১৪ বছর বয়সী কিশোরী গৃহকর্মীকে একাধিকবার ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে এক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক ফরহাদ উজ্জামান (৩৭) শ্রীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল হাসেমের ছেলে। তার বাবা একজন আইনজীবী।

শনিবার (২৯ জুন) রাতে শ্রীপুর পৌরসভার শ্রীপুর বাজারের নিজস্ব চেম্বার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে শ্রীপুর থানা-পুলিশ।

ভুক্তভোগী গৃহকর্মীর বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবা একজন রিকশাচালক।

কিশোরী গৃহকর্মীর মা বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ শ্রীপুরে ভাড়া থেকে মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার স্বামী একজন রিকশাচালক। গত দুই মাস আগে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। এরপর সে আমার ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে তাদের বাসার কাজ করার জন্য প্রস্তাব দেয়। তখন আমি বেতন ঠিক করে মেয়েকে তার বাড়িতে কাজ করতে পাঠাই।’

এর কিছুদিন যাওয়ার পর অভিযুক্ত সুকৌশলে আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত তার বাসায় ও চেম্বারে নিয়ে আমার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।’

কিশোরীর মা আরও বলেন, ‘বিষয়টি মেয়ে আমাকে জানালে আমি ও আমার স্বামী গিয়ে চিকিৎসকের বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে আসি। নিয়ে আসার পরপরই আমার মোবাইল নম্বরে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ফোন করে মেয়েকে আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এর একদিন পর আমার এক আত্মীয় ফোন করে জানায় মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর আমি থানায় এসে পুলিশকে লিখিত আকারে জানালে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়। আমি এর সঠিক বিচার ও শাস্তি চাই।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা। আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

Share this post

PinIt
scroll to top