সিলেটে বারবার বন্যা, টিলা ধসের শঙ্কা

image_100134_1719715615.webp

দেশের তথ্য ডেস্কঃ

সিলেটে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে বারবার বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন এলাকা। একটি বন্যা শেষ হতে না হতেই ভারি বৃষ্টিপাতে শঙ্কিত সিলেটের মানুষ। ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় টিলা ও পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে টিলা বা টিলার পাদদেশে অবস্থানকারী সাড়ে তিনশ’ থেকে চারশ’ পরিবার ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রতি বছর বন্যায় টিলা ধসে অনেক মানুষ মারা যায় সিলেটে।

সোমবার (১০ জুন) সিলেট নগরের মেজর টিলায় ধসে একই পরিবারের ৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে টিলার মাটি ধসে একটি আধাপাকা ঘরের ওপর পড়ে। ঘরে থাকা দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও তিনজনের মৃত্যু হয়।

বারবার টিলা ধসে অনেক মানুষের মৃত্যু হলেও কঠোর অবস্থানে যেতে পারে না প্রশাসন। প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে এ ঘটনাগুলো ঘটছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, শুধু বর্ষা এলে লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযানে পাহাড় টিলা রক্ষা বা প্রাণহানি ঠেকানো সম্ভব নয়। সিলেটে পাহাড় ও টিলা রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাহাড় টিলা ধসের আশঙ্কায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় মানুষকে সতর্ক করতে লাল পতাকা লাগানো হয়েছে।

সিলেট সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন আক্তার কালবেলাকে বলেন, আমাদের সকল ইউনিয়ন বন্যাকবলিত ছিল। এখন পানি কমছে। মানুষদের সচেতন করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ টিলাগুলো শনাক্ত করে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। মানুষদের সচেতন করতে আমাদের মাইকিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান কালবেলাকে বলেন, সিলেটে ছোট বড় মিলিয়ে ৭শ’ থেকে ৮শ’ টিলা আছে। এর মধ্যে ১৫০ ঝুঁকিপূর্ণ টিলা আছে। ঝুঁকিপূর্ণ সবকটি টিলা থেকে আমরা চেষ্টা করছি মানুষজনকে অন্যত্র নেওয়ার জন্য। যেখানে দেখছি টিলা উঁচু সেখান থেকে আমরা জোরপূর্বক হলেও তাদেরকে আমরা চেষ্টা করছি সরিয়ে নেওয়ার জন্য। বাধ্যও করেছি কয়েকটা জায়গাতে। অনেকে আমাদের বলে যে আমার জীবন থাকতে আমি বাড়িঘর ছাড়ব না। তারপরও আমরা বুঝিয়ে তাদেরকে সরানোর চেষ্টা করি। যখন বেশি বৃষ্টি হয় তখন আমরা তাদেরকে বেশি জোর করে সরানোর চেষ্টা করি।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কানাইঘাট থেকে দুটি পরিবার, গোলাপগঞ্জ থেকে একটি পরিবার ও সদরে টিলার পাদদেশে থাকা কয়েকটি পরিবারকে সরিয়েছি। যেসব জায়গায় এসব ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে, সেসব জায়গায় আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

Share this post

PinIt
scroll to top