পদ্মা সেতুর নদীশাসন ব্যয় বাড়ল

1719658308-8762482216de465c1eb5e96ca149bb8e.webp

দেশের তথ্য ডেস্কঃ

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে নতুন করে ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের নদীশাসন কাজের এক্সটেনশন অব টাইমের ক্লেইমজনিত কারণে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

নতুন করে ২৪৯ কোটি ৪২ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৯ টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে৷ মূল চুক্তিমূল্য আট হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ ৪১ হাজার ৪৪৬ টাকা। এরপর প্রথম দফায় ৮৭৭ কোটি ৫৩ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৩ টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়।

এতে ভ্যাট, ট্যাক্সসহ পদ্মা সেতুর নদীশাসনের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৯ হাজার ৫৮৫ কোটি ৩৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। এখন দ্বিতীয় দফায় পদ্মা সেতুর নদীশাসনের ব্যয় ২৪৯ কোটি ৪২ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৯ টাকা বাড়ানো হলো। এতে মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৮৩৪ কোটি ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৯ টাকা। যা মূল চুক্তি থেকে ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি।
পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের নদীশাসনের কাজ করছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড।সচিব বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ ৩০ জুন শেষ হচ্ছে। নদীশাসনের কাজ করছে চীনের সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন। তাদের কাজ সমাপ্তির তারিখ ছিল গত বছরের ৩০ জুন।

তিনি বলেন, এই সময়ে ঠিকাদারকে অতিরিক্ত কিছু কাজ করতে হয়েছে। দুটি কারণে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়েছে। একটা হলো প্রকল্পের জাজিরা প্রান্তে নদীশাসন কাজের সীমানায় অবস্থিত কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট এবং আশপাশের প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নৌযোগাযোগব্যবস্থা সচল করার জন্য বিআইডাব্লিউ থেকে জায়গা পেতে বিলম্ব হওয়া। এতে তিন বছরের বেশি সময় বিলম্ব হয়েছে। দ্বিতীয় কারণ হলো, কাজ করতে যাওয়ার সময় ডিজাইন চূড়ান্ত হওয়ার পর মাওয়া প্রান্তে মূল সেতুর ওজনে নদীশাসন কাজের সীমানা বরাবর ২০১২ সালে নদীর প্রচণ্ড স্রোতে নদীভাঙন হয়, ঠিকাদারের কাজের কিছু অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ফলে ডিজাইন পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে ডিজাইন তৈরিতে বিলম্ব হয়। এ কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করে।

Share this post

PinIt
scroll to top