কলকাতা শ্রীরাম মার্কেটের স্থায়ী দোকানদারদের সাথে হকারদের তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতি।

WhatsApp-Image-2024-06-29-at-6.20.47-PM-1.jpeg

কলকাতা প্রতিনিধিঃ

আজ ২৯ শে জুন শনিবার, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবং কলকাতা কর্পোরেশনের সহযোগিতায়  হকারদের আজ থেকে বসার অনুমতি মিলেছে বলে জানা যায়।  প্রত্যেক হকারকে পাঁচ ফুট জায়গার মধ্যে বসতে হবে এই নির্দেশ দেয়। কোনরকম ফুটপাত দখল করা যাবে না।

সেইমতো আজ হকাররা কিরাম মার্কেটের সামনে দোকান বসাতে গিয়ে, মার্কেটে স্থায়ী দোকানদাররা তাদেরকে বারণ করেন ফুটপাতে বসতে। এক পর্যায়ে শুরু হয়  তর্কাতর্কি এবং একটি গাড়ি ফুটপাতে থাকায় সেটি সরাতে বলে। এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হতে হতে হাতাহাতি শুরু হয়।  হকারেরা শ্রীরাম মার্কেটে স্থায়ী দোকানদার ও মার্কেটের প্রেসিডেন্টের গায়ে হাত তোলে।

সাথে সাথে শুরু হয়ে যায় তুলকালাম কান্ড। ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রশাসন অফিসারেরা ও পুলিশ ফোর্সের গাড়ি উপস্থিত হয়। অফিসাররা কথা দেয় এক ঘন্টার মধ্যে তারা দোষীদের গ্রেফতার করবে । কিন্তু এক ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর গ্রেপ্তার না হওয়ায়, শ্রীরাম মার্কেটের সমস্ত দোকানদাররা নিউমার্কেট ঘেরাও করে এবং রাস্তা অবরোধ করে। তাদের একটাই দাবী, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। নয়তো তারা রাস্তা অবরোধ করে রাখবে। প্রথমে তারা অফিসারদের কাছে জানতে চান গ্রেফতার করবেন কি করবেন না?  সোজা উওর না পাওয়ায়, তারা রাস্তা অবরোধ করতে বাধ্য হন। প্রায় এক ঘন্টার উপর চলে রাস্তা অবরোধ ,সমস্ত গাড়ি লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। গাড়ি জাতিরা বাধ্য হয় গাড়ি থেকে নেমে পড়তে।

অন্যদিকে তৃণমূল ইউনিয়নের, হকারেরা দল বেঁধে মিছিল করতে করতে নিউমার্কেটে সামনে আসতে শুরু করেন। প্রশাসনের অফিসাররা তাদেরকে ঘিরে আটকানোর চেষ্টা করলেও প্রথমটা আটকাতে পারেনি কিন্তু নিউমার্কেটের সামনে পৌঁছানোর পর উভয়কে উভয়ের দিকে সরিয়ে দেন।  এভাবেই দুই পক্ষও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিলেন। কিছুক্ষণ পর তৃণমূল ইউনিয়নের হকারদের টিএমসির কাজ পর্যন্ত সরিয়ে ব্যারিকেড করে দেয়।

স্থায়ী দোকানদাররা বলেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী অর্ডার দিক স্থায়ী দোকানদারদের দোকান বন্ধ করে উঠে যেতে হকাররা ব্যবসা করবে। স্থায়ী দোকানদারদের বক্তব্য, ”আমরা ব্যবসা বন্ধ করে ওয়েস্ট বেঙ্গল ছেড়ে কী চলে যাবো, পয়সা দিয়ে স্থায়ী দোকান করে। আমরা মার খাচ্ছি , প্রশাসনিক তরফ থেকেও কোন সঠিক উত্তর পাচ্ছি না ।

কিছুক্ষণ বাদে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সেন্ট্রাল ডিসি। সাথে সাথে ফোর্স নিয়ে রাস্তায় নামেন এবং গাড়ি-ঘোড়া যান চলাচল স্বাভাবিক করে দেন। শুধু তাই নয় রাস্তার দুধারে যে সকল মানুষ ভীর জমিয়ে ছিলেন  তাদেরকেও সরে যেতে বলেন। পুলিশ আধিকারিকের অফিসাররা এবং ফোর্সরা রাস্তার থেকে এবং থানা সামনে থেকে সমস্তকে সরিয়ে দেন। পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে।

Share this post

PinIt
scroll to top