সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ারকে আ. লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবি

1719659953-9e8a01bfb2c96c61eda1158eb7452e8d.webp

দেশের তথ্য ডেস্কঃ

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ তুলে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি সংগঠন।

শনিবার (২৯ জুন) নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি করা হয়।  বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাজশাহী জেলা ও মহানগর ইউনিট কমান্ড, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ-৭১ ও রাজশাহী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাজশাহী মহানগর ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসান খন্দকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এন্তাজুল হক বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল আওয়ামী লীগের পরিশ্রমী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। বাঘা দলিল লেখক সমিতির কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় তার। এর মূল পরিকল্পনাকারী শাহরিয়ার আলম। তাকে রাজশাহীতে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে।

আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাবুল হত্যার বিচার চাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। পাশাপাশি শাহরিয়ার আলমের বহিষ্কার চাই।’বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সন্তান এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র হিসেবে রাজশাহীর উন্নয়ন করছেন। তা দেখে ঈর্ষান্বিত শাহরিয়ার আলম তার বিরুদ্ধে ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করেছেন।

দলের একটি উপজেলা কমিটির সভাপতি হিসেবে শাহরিয়ার আলম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা অত্যন্ত ধৃষ্টতাপূর্ণ। এর জন্য তার শাস্তি হওয়া উচিত।’উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে গত ২২ জুন গুরুত্বর আহত হন আশরাফুল ইসলাম বাবুল। ২৬ জুন তিনি মারা যান। ২৭ জুন বাবুলের জানাজায় এমপি শাহরিয়ার আলম দাবী করেন, সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ ও বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু এ হত্যাকাণ্ডে মদদ দিয়েছেন।

Share this post

PinIt
scroll to top