দেশের তথ্য ডেস্কঃ
এবার রোবটে ‘জীবন্ত ত্বক’ বসিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর মাধ্যমে মানুষের অবিকল রোবট তৈরির প্রচেষ্টায় আরেক ধাপ এগোল বিশ্ব।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, যান্ত্রিক রোবটের মুখমণ্ডল তৈরি করা হয়েছে জীবন্ত ত্বক দিয়ে। ত্বকটি হাস্যোজ্জ্বল অভিব্যক্তি দিতে সক্ষম, যা অবাক করার মতো সাফল্য।
সাফল্যটি পেয়েছেন জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্সের অধ্যাপক শওজি টেকুচের নেতৃত্বে একদল গবেষক।
এক ভিডিওতে দেখা যায়, রোবটটি বেশ ছোট। কিন্তু নরম ও গোলাপি রঙের জ্বলজ্বলে চোখ বিস্ময় জাগায়। রোবটটি যখন ক্যামেরা বা কারও দিকে তাকায় তখন সে তার চেহারায় হাসি ফুটিয়ে তুলতে পারে। এ হাসি অনেকটা মানুষের মতো। মানুষের মতো চেহারার ত্বক সামান্য বিকশিত ও সংকুচিত করতে পারে এটি।
জানা গেছে, কোলাজেন জেল ও হিউম্যান ডার্মাল ফাইব্রোব্লাস্ট ব্যবহার করে রোবটের এই জীবন্ত ত্বক তৈরি করা হয়েছে। মানুষের ত্বকের প্রাকৃতিক গঠন থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েই দলটি এটি তৈরি করেছে। মূলত, মানুষের মতো যোগাযোগে দক্ষ রোবট তৈরির প্রচেষ্টার প্রাথমিক ফসল এটি। এতে সফল হওয়ায় বুদ্ধিমান রোবট তৈরিতে মানুষ আরও এগিয়ে গেল।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের মতো দেখতে রোবট তৈরির যেন ধুম পড়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গবেষকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর আগে হিউম্যানয়েড প্রথম নারী রোবট ‘সারা’ নিয়ে আলোচনা উঠে। রোবটটি তৈরি করে সৌদি আরব। এ নারী হিউম্যানয়েড রোবটটি যৌনতা ও রাজনীতি ছাড়া আর যে কোনো বিষয়ে কথা বলতে পারবে।
রিয়াদভিত্তিক কিউএসএস এআই অ্যান্ড রোবটসের প্রধান নির্বাহী এলি মেট্রি বলেন, ‘সারা জানে যে সে একজন মেয়ে, তার বয়স ২৫ বছর, তার উচ্চতা ১.৬২ সেন্টিমিটার, সে সৌদি পোশাক পরে। তার আচরণ ও ব্যবহার সুন্দর হওয়া উচিত। সৌদি আরবে তৈরি রোবট হওয়ায় তার রাজনীতি ও যৌনতা নিয়ে কথা বলা উচিত না।’
ঐতিহ্যবাহী সৌদি আবায়া পরিহিত সারা, সৌদি আরব তথা মধ্যপ্রাচ্যে ডিজাইন করা প্রথম হিউম্যানয়েড রোবট। সে আরবি এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় কথা বলতে পারে। মেট্রি জানান, সারা তার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ভাষা শেখার মডেল ব্যবহার করে। এটি একটি এআই প্রোগ্রাম, যা টেক্সট, স্পিচ শনাক্ত এবং তৈরি করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলগুলোকে (এলএলএম) বিস্তৃত ডেটাসেটগুলোতে মেশিন লার্নিং কৌশল ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হয়।
এই প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া চলাকালীন, মডেলগুলো ডেটার মধ্যে নিদর্শন, কাঠামো এবং সম্পর্কগুলো শেখে, তাদের মানুষের মতো পাঠ্য তৈরি করতে এবং বিভিন্ন ভাষার কার্য সম্পাদন করতে সক্ষম করে। মেট্রি বলেন, ‘আমরা অন্য কারও লাইব্রেরির ওপর নির্ভর করি না, এমনকি চ্যাটজিপিটিও নয়।’