দেশের তথ্য ডেস্কঃ
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, আজকে দানবীয় সরকার সবকিছু তছনছ করে দিচ্ছে। দেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করছে। দুর্নীতি করে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ফোকলা বানিয়ে ফেলছে। ধ্বংস করা হয়েছে আইনের শাসন, ধ্বংস করা হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যখাতসহ রাষ্ট্রের সকল স্তম্ভ।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যদি মুক্ত থাকত তাহলে সরকার এগুলো করতে পারত না। তাই দেশনেত্রীকে বন্দি রেখে সরকার রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। কিন্তু গণতন্ত্রকামী জনতা এ নকশা কখনো সফল হতে দেবে না।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের এক প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আগামী শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আহূত সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সদ্য বিলুপ্ত যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
মুন্না বলেন, বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য জিয়া পরিবারের অবদান সবচেয়ে বেশি। আর আজ সেই গণতন্ত্রের মানসকন্যা খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার অপর নাম গণতন্ত্র। তিনি যখন ক্ষমতায় থাকেন তখন মানুষ গণতন্ত্রের স্বাদ গ্রহণ করে। আবার যখন দেশ-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতার বাইরে রাখা হয়, তখনই বন্দি করা হয় গণতন্ত্রকে। তাই গণতন্ত্রের জন্য, দেশের জন্য এবং জনগণের স্বার্থে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতেই হবে। এরজন্য আমরণ রাজপথে থাকার শপথ নিতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম নয়নের (ভার্চুয়ালি) সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মামুন হাসান, সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, জাকির সিদ্দিকী, মহসিন মোল্লা, কামরুজ্জামান দুলাল (সহসভাপতি পদমর্যাদা দপ্তর), গোলাম মওলা শাহিন, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল জব্বার, বিল্লাল হোসেন তারেক, আলমগীর হোসেন সোহান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, গণশিক্ষা সম্পাদক মামুন হোসেন ভূইয়া, সহসাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান অলিউদ্দিন সুমন, সহকোষাধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান তালুকদার, সহগণযোগাযোগবিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন, সহকৃষিবিষয়ক সম্পাদক সানোয়ার আলম, সদস্য সাইদুর রহমান শামীম, মোরশেদ আলম, হেদায়েত হোসেন ভূইয়া, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ গাফফার, ইকবাল হোসেন বাবলু, মুকিত হোসেন প্রমুখ।