দেশের তথ্য ডেস্কঃ
বাগেরহাটে জনশুমারি চূড়ান্ত প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিক ভাবে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রকাশ করা হয়। ২০২২ সালের জনশুমারি চূড়ান্ত প্রতিবেদন বাগেরহাট জেলায় এখন মোট জনসংখ্যা দাড়িয়েছে ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৭৬৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৮ লাখ ২ হাজার ৩১৪ (৪৯.৭৪ শতাংশ) এবং নারী ৮ লাখ ১০ হাজার ৬৯১ জন (৫০.২৬ শতাংশ)। পরিসংখ্যান অনুযায়ী জেলায় পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৩৭৭ জন বেশি।
গত ১১ বছরে বাগেরহাট জেলায় জনসংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৮৫ জন। দুপুরে জেলা কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসাবে বাগেরহাটের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের মোরক উন্মোচন করেন ।
জনশুমারি চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বাগেরহাট জেলায় ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৭৬৮ মানুষের মধ্যে ১২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯০ জন গ্রামে ও ৩ লাখ ৮৫ হাজার ১৮৬ জন শহরে বসবাস করে। এই জনসংখ্যার মধ্যে ৮৩ দশমিক ২৫ শতাংশ মুসলমান, ১৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ হিন্দু, দশমিক ৩৭ শতাংশ খ্রিস্টান, শুন্য দশমিক শুন্য এক শতাংশ বৌদ্ধ ও শুন্য দশমিক শুন্য দুই শতাংশ অন্যান্য ধর্মালম্বি। জেলায় জনসংখ্যার বার্ষিক বৃদ্ধির হার শুন্য দশমিক ৭৯শতাংশ। জেলায় জনসংখ্যার ঘনত্ব ৪০৭জন। জেলায় খানার সংখ্যা ৪ লাখ ৮ হাজার ৮৪০টি। এরমধ্যে গ্রামে ৩ লাখ ১০ হাজার ৮৩৯টি ও শহরে ৯৮ হাজার ১টি। জেলায় বাসগৃহের সংখ্যা ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০টি। এরমধ্যে ৩ লাখ ৬ হাজার ৮২৪টি গ্রামে ও শহরে ৮৮ হাজার ৭০৬টি বাসগৃহ রয়েছে।
জনশুমারি চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উপকূলীয় এই জেলায় মাত্র ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ মানুষ পাকা ঘরে বসবাস করেন। ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ মানুষ আধাপাকা, ৭২ দশমিক ৭৬ শতাংশ মানুষ কাঁচা ঘর ও ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ মানুষ ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন। এখনো ২২ দশমিক শুন্য ৩ শতাংশ মানুষের খাবারা পানির প্রধান উৎস্য পুকুর, নদী ও কুয়া। জেলায় ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে হার ৭০ দশমিক ১০ শতাংশ ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে ২৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ মানুষ। এখন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে ৯৮দশমিক ৯৭ শতাংশ ও বিদ্যুৎ সুবিধা বঞ্চিত ১ দশমিক শুন্য ৩ শতাংশ মানুষ।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে জনশুমারি চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ছাড়াও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপসচিব শেখ শামছুর রহমান, জেলা পরিসংখ্যান বিভাগের উপপরিচালক মো. রাশিউল ইসলামসহ সরকারী কর্মকর্তা, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।