১০ বছরে পাট রপ্তানিতে আয় কত, জানালেন নানক

image_99414_1719489238.webp

দেশের তথ্য ডেস্কঃ

২০১৩-১৪ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ১০ বছরে পাট রপ্তানি বাবদ ১০ হাজার ৪৫৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা আয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদে নোয়াখালী-২ আসনের সরকার দলীয় এমপি মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান পাটমন্ত্রী।

মন্ত্রী জানান ভারত, পাকিস্তান, চীন, নেপাল, ব্রাজিল, ইউকে, জিবুতি, ভিয়েতনাম, অস্ট্রিয়া, ইউ এস এ, স্পেন, জার্মানি, মেক্সিকো, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, জাপান, কোরিয়া, তুর্কি, ইন্দোনেশিয়া, বেলজিয়াম, তিউনিশিয়া, কেনিয়া, উগান্ডা, সিংগাপুরসহ ১৩৫ টি দেশে রপ্তানি করা হয়েছে। এ সময় পাট রপ্তানি বাবদ ১০ হাজার ৪৫৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা আয় হয়েছে।

স্বতন্ত্র এমপি সাদ্দাম হোসেন পাভেলের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের স্থানীয় বাজারে বস্ত্রের চাহিদার পরিমাণ প্রায় সাত বিলিয়ন মিটার। দেশের স্থানীয় বাজারে বস্ত্রের চাহিদার ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুযায়ী পুরোটাই দেশে উৎপাদিত হয়। তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে ওভেন এবং ডেনিম বস্ত্রের চাহিদা প্রায় আট বিলিয়ন মিটার। এর মধ্যে প্রায় চার বিলিয়ন মিটার দেশে উৎপাদিত হয় এবং প্রায় চার বিলিয়ন মিটার আমদানি করা হয়। তবে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে নিট সুতার চাহিদা প্রায় ১৬ লাখ টন। তার মধ্যে প্রায় ১২ লাখ টন সুতা দেশে উৎপাদিত হয় এবং প্রায় চার লাখ টন ঘাটতি রয়েছে যা আমদানি করা হয়। ঘাটতি (ওভেন ও ডেনিম বস্ত্রের) পূরণের জন্য প্রধানত চীন ও ভারত হতে আমদানি করা হয়।

স্বতন্ত্র এমপি পংকজ নাথের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে বিজেএমসির ২৫টি মিলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। উৎপাদন করা ২০টি মিল ইজারার ভিত্তিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পুনঃচালুর সরকারি সিদ্ধান্তে ১৪টি মিলের লিজচুক্তি স্বাক্ষরিক হয়েছে। যার মধ্যে ৭টি মিল ইতোমধ্যে পাটজাত পণ্য উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যার মধ্যে ‍কিছু কিছু ‍মিল তাদের পাটজাত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করেছে।

Share this post

PinIt
scroll to top