বটিয়াঘাটা প্রতিনিধিঃ
বটিয়াঘাটা থানায় স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ। সূত্র প্রকাশ, উপজেলার পার বটিয়াঘাটা এলাকার মৃত মুকুল বাছাড়ের পুত্র তন্ময় বাছাড় তার স্ত্রী লতিকা বাইনকে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে সাদা কাগজ ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয় এবং সেই সাদা কাগজ ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নিয়ে স্ত্রী লতিকা বাইনকে ডিভোর্স দেয়। সাংবাদিকদের এক মুখোমুখি সাক্ষাৎকারে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী লতিকা বাইন। তিনি তার অভিযোগে বলেন, আমি স্বামী সংসার ফিরে পাওয়ার জন্য থানায় অভিযোগ করেছি। আমার স্বামী বিভিন্ন সময়ে তার লোকজন দিয়ে আমাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি জীবন নাশের হুমকি দেয়। থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তন্ময় বাছাড় (৩৮) এর সাথে ৩ বছর পূর্বে সামাজিক ভাবে বিবাহ হয় পাইকগাছা উপজেলার চারবান্দা এলাকার ননী গোপাল বাইনের কন্যা লতিকা বাইন (৩২) এর সাথে। বিবাহের পর থেকে ভালোই চলছিল লতিকার সংসার জীবন। কিন্তু হঠাৎ তন্ময়ের কুদৃষ্টি পড়ে লতিকার উপর। বিভিন্ন সময় লতিকাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায়ে লতিকাকে তার বাপের বাড়ি তুলে দেওয়া হয় । সেই থেকে লতিকা তার বাপের বাড়িতে অবস্থান করছে। লতিকা মোবাইল ফোনে তার স্বামীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার স্বামী মোবাইল নাম্বারটি ব্ল্যাকলিস্টে করে রাখে বলে অভিযোগ লতিকার। ভুক্তভোগী গৃহবধু ও কলেজ ছাত্রী লতিকা থানায় অভিযোগ করে বলেন,গত ২১ জুন ২০২৪ রাতে তার শশুর বাড়ীতে গেলে তার স্বামী তন্ময় সহ বাড়ির লোকজন তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তার বাড়ী থেকে ঘাড় ধরে বের করে দেয়। তিনি আরো বলেন, পার বটিয়াঘাটা এলাকায় দেখা মাত্রই মারপিট করে খুন জখম করিবে এবং আমার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করে মামলা করবে বলে হুমকি দেয়। আমি বর্তমান রাস্তায় রাস্তায় চরম মানবতার মধ্যে দিনযাপন করছি। তন্ময় বাছাড় বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয় । আমি তাকে কোন সাদা কাগজ বা স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়নি। আমরা উভয় পক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুলনা রোটারি পাবলিক এফিডেভিটের এর মাধ্যমে সেপারেশন ডিভোর্স দিয়েছি। বটিয়াঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ রিপন কুমার সরকার বলেন,অভিযোগ পেয়েছি । তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।