দেশের তথ্য ডেস্কঃ
সর্বগ্রাসী ক্ষুধা থেকে আমাদের বের হয়ে শুদ্ধাচারী মনোভব পোষণ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার। তিনি বলেন, গনমাধ্যম এখন সৎ মানুষ সেজে থাকা দুর্নীতিবাজদের বের করে আনছে।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের সর্বগ্রাসী মনোভব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সম্মানের থেকে কেন আমরা বিচ্যুত হচ্ছি। শুধু নিজে সৎ থাকলে হবে না। আশেপাশের সকলকে সৎ রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৪-২৫ স্বাক্ষর ও শুদ্ধাচার পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য আব্দুল বাকী, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য রেহানা খাতুন ও বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।
ত্যজিত কর্মকার বলেন, আমরা সর্বগ্রাসী হয়ে গেছি। আমাদের চাই চাই আরও লাগবে কেন? সরকার আমাদের কি দেয়নি আমরা কেন নীতি বহির্ভূত কাজ করছি। এই দেশতো আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে। সর্বগ্রাসী ক্ষুধা এমন পর্যায়ে গেছে প্রধানমন্ত্রী আমাদের শুদ্ধাচার পুরুষ্কার দিয়ে নিবৃত করছে। আমাদের সবাইকে সর্বগ্রাসী ক্ষুধা থেকে বের হতে হবে।
তিনি বলেন, এখানে আজ অনেকেই অনুপস্থিত। যা খুবই দুঃখজনক এটা শুদ্ধাচারের পরিপন্থি। এটা সরকারের অন্যতম কর্মসূচি অথচ অনেকে নেই। আমার মনে হয় আয়োজকদের কারণে আজ অনেক চেয়ার ফাঁকা। আমাদের সময়ের প্রতি, দায়িত্বের প্রতি আরও যত্ববান হওয়া দরকার।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, অনাচার দিয়ে কোনো সমাজ চলতে পারে না। শুদ্ধাচার এর বিপরীত শব্দ কি অনাচার। সামাজিক অনাচার দূর করে মানব সভ্যতা রচনা করাই কাজ। মানুষের কাজই হচ্ছে অনাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।
তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন বিলবোর্ডে জাতির পিতার কথা বলা আছে সেই অনুসারে আমাদের চলতে হবে। মানুষকে সম্মান জানাতে হবে। শুদ্ধ হওয়র জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। জীবনের প্রতি পদক্ষেপ শুদ্ধাচার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। শুদ্ধাচার অর্জন করবার জন্য জাতির পিতাকে অনুসরণ করে জীবন পরিচালনা করতে হবে।