বটিয়াঘাটার পল্লীতে আবারও সরকারি চাউল আত্মসাতের অভিযোগ

4-6.jpg

বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধি:-
আবারো অভিযোগ উঠেছে বটিয়াঘাটা ভান্ডারকোট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি চাউল আত্মসাতে। বটিয়াঘাটা উপজেলার ভান্ডারকোট ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি ভিজিএফ কার্ডের চাউল আত্মসাৎকার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বটিয়াঘাটা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এলাকাবাসীর অভিযোগের সূত্র ধরে মোঃ আসাদুর রহমান সরজমিনে ঘটনাস্থলে যান। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জুন বুধবার ইউনিয়ন পরিষদের পিছনে আখর আলী শেখের পুত্র আরিফুল ইসলাম এর চাউলের দোকানে 22 বস্তা সরকারি ভিজিএফ কার্ডের চাউল নিয়ে রাখা হয়। অভিযোগ উঠেছে ,স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মোঃ ওবায়দুর রহমান এর নির্দেশে পরিষদের খোকন দফাদার ও বাবুল চৌকিদারের সহযোগিতায় স্থানীয় ইয়াসিন এর ভ্যানে করে উক্ত ২২ বস্তা চাউল গোপনে পরিষদের পিছনে কুটিরহাট বাজার আরিফুলের দোকানের ভিতর নিয়ে উক্ত চাউল রাখা হয়। এ ব্যাপারে খোকন দফাদার ও বাবুল চৌকিদারের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমরা উক্ত ছাউল আরিফুরের দোকানে নিয়ে যাই। অন্যদিকে ফাউল ব্যবসায় আরিফুলের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন বিজিএফ কার্ড এর কাছ থেকে আমি চাউল সংগ্রহ করেছি। কিন্তু তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় ,তিনি ওই চাইল বিজিএফ কার্ড দারিদ্রের নিকট থেকে সংগ্রহ করেননি। নিজের অপকর্ম এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বাঁচানোর জন্য তিনি এই মিথ্যা আশ্রয়ের পথ বেছে নিয়েছে। চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং এই ঘটনার সাথে তিনি জড়িত নয় বলে জানান। বটিয়াঘাটা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আসাদুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগের সূত্র ধরে আমি ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি চাউল ভিকটিম আরিফুলের দোকানের ভিতর ফলোয়ারের ডালা রয়েছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ছাড়া এই মুহূর্তে আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না । তবে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য গত সোমবার উপজেলার সুরখালি ইউনিয়ন পরিষদের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে টিসিবির মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ। এ ঘটনায় থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। দুইজনকে পুলিশ আটক করেছে। বাকিরা পলাতক রয়েছে। ##

Share this post

PinIt
scroll to top