দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে মাদরাসাছাত্রের মরদেহ মিলল পুকুরে

16-8.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক –

দুই দিন আগে মাদরাসার পুকুরে গোসল করতে যায় মান্নান। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে মাদরাসার ছাত্ররা অজু করতে গেলে পুকুর থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এই দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে মান্নানের মরদেহ পুকুরের ঘাটলার নিচে দেখতে পায় তারা।

পচা-দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে পুকুরে পাওয়া গেছে এক মাদ্রাসা ছাত্রের গলিত মরদেহ।

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর নাটেশ্বর ইউনিয়নের দারুল আরকাম ইসলামিয়া মাদরাসার পুকুর থেকে বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে পুলিশ ওই মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত মো. মান্নান উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মির্জানগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে। সে পূর্ব নাটেশ্বর গ্রামের দারুল আরকাম ইসলামিয়া মাদরাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র ছিল।

পুলিশও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই দিন আগে মাদরাসার পুকুরে গোসল করতে যায় মান্নান। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে মাদরাসার ছাত্ররা অজু করতে গেলে পুকুর থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এই দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে মান্নানের মরদেহ পুকুরের ঘাটলার নিচে দেখতে পায় তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

সোনাইমুড়ী থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

তিনি বলেন, নিহতের পরিবার একটি অভিযোগ করেছে। ওই ছাত্র মাঝে মাঝে মাদরাসা থেকে পালিয়ে গেলে এক শিক্ষক তাকে দুটি থাপ্পড় দেয়। নিহতের পরিবার হুজুরকে সন্দেহ করছে।

মাদরাসার প্রিন্সিপাল মহিউদ্দিন জানান, দুদিন ধরে ছাত্রটি নিখোঁজ ছিল। এই ছেলেটি প্রায় সময় কাউকে না বলে মাদরাসা থেকে পালিয়ে যায়। অসংখ্যবার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

নিহতের সহোদর ভাই অভিযোগ করে জানান, পড়ালেখার না পারার অজুহতে ওই মাদ্রাসার হুজুররা প্রায় সময় তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাত। তাকে গলা টিপে ধরা হয়েছিল। নির্যাতনের বিষয়ে প্রিন্সিপালের কাছে বিচার চাইলে কিছুদিন আগে এক হুজুর তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন।

Share this post

PinIt
scroll to top