টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা পারফর্মার তাওহীদ হৃদয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে টানা তিন বলে ছয় মেরে ম্যাচ বেড়ে করে এনেছিলেন তিনি। এরপর নিউইয়র্কের কঠিন উইকেটেও প্রোটিয়া বোলারদের রীতিমতো শাসন করেছেন। দলকে সেদিন জেতাতে না পারলেও প্রশংসিত হয়েছে হৃদয়ের ব্যাটিং। এই মুহূর্তে টাইগারদের সবচেয়ে ইনফর্ম ব্যাটার যুব বিশ্বকাপজয়ী এই তরুণই।
জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছেন তাওহীদ হৃদয়। সাম্প্রতিককালে সাদা বলে বাংলাদেশের ব্যাটিং অনেকটা একাই টানছেন হৃদয়। ভালো পারফরম্যান্সের ছাপ পড়ছে র্যাঙ্কিংয়ে তার দ্রুত উন্নতিতে। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো খেলার সুবাধে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন হৃদয়। ৩২ ধাপ এগিয়ে এখন ২৭ নম্বরে হৃদয়। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে এখন তিনিই। অন্যদিকে, বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান।
গত সপ্তাহে ৫৯ নম্বর স্থানে থাকা হৃদয় পেছনে ফেলেছেন লিটন দাসকে। এতদিন বাংলাদশিদের মধ্যে সেরা অবস্থানে ছিলেন লিটনই। বাজে ফর্মের সঙ্গে লড়তে থাকা এই উইকেটকিপার ব্যাটারের ফের অবনমন হয়েছে। ২ ধাপ পিছিয়ে ৪১ নম্বরে আছেন লিটন। আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত পিছিয়েছেন ৬ ধাপ। ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে ৪৯ নম্বরে আছেন শান্ত।
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে অবনতি হলেও ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে শান্তর। ১০ ধাপ এগিয়ে ৩৯ নম্বরে উঠেছেন টাইগার দলপতি। টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়েও উন্নতি করেছেন হৃদয়। ১২ ধাপ এগিয়ে ওমানের আয়ান খানের যৌথভাবে ৭৬ নম্বরে আছেন তিনি।
ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়েও অবনতি অব্যাহত লিটন-সাকিবের অবনতি। পাঁচ ধাপ পিছিয়ে ৬০ নম্বরে নেমে গেছেন লিটন, সাকিব ২ ধাপ পিছিয়ে ৪৯ নম্বরে। জাতীয় দলের বাইরে থাকা তামিম ইকবাল পিছিয়েছেন ৪ ধাপ। আছেন ৬৭ নম্বরে।
এদিকে টি-টোয়েন্টি বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১০ ধাপ এগিয়ে ১৩ নম্বরে উঠেছেন কাটার মাস্টার। আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ ৮ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ১৯ নম্বরে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচসেরা হওয়া রিশাদ হোসেনও দারুণ উন্নতি করেছেন। ২৪ ধাপ এগিয়ে ৩০ নম্বরে উঠেছেন রিশাদ। অন্যদিকে ৬ ধাপ পিছিয়ে ৩৬ নম্বরে নেমে গেছেন সাকিব আল হাসান।