কারাদণ্ড সহ লাখ টাকা জরিমানা ‘ইমো হ্যাকারকে‘

5-1-1.jpg

সাজা পাওয়া দুই আসামি হলেন- রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চক নারায়ণপুর গ্রামের হৃদয় আলী (২১) ও নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার বিরোপাড়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (২৫)।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
 

রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইসমত আরা বেগম জানান, ঢাকার সবুজবাগের আবদুল মালেক নামের এক ব্যক্তি এই মামলার বাদী। ২০২৩ সালের ২ মার্চ নাটোরের লালপুর থানায় তিনি এ মামলা করেন। মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার বোন জামাই জাকির হোসেন সৌদি আরব প্রবাসী। স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের সঙ্গে তিনি সামাজিক মাধ্যম ইমোতে যোগাযোগ করতেন।

২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তরা জাকির হোসেনের ইমো হ্যাক করে ফাতেমাকে তার বিপদের কথা জানায়। এরপর ফাতেমার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
পরে আবদুল মালেক অনেক খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারেন যে বিকাশ নম্বরে টাকা নেয়া হয়েছে তা রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে নিবন্ধন করা। তাই বিষয়টি তিনি র‌্যাবকে জানালে প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে পাঁচজনকে আটক করে। এরপর মালেক বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি ধারায় আসামিদের পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
দেশের তথ্য ডেস্ক / আই এইচ

Share this post

PinIt
scroll to top