দেশের তথ্য ডেস্ক।।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে মাদকসহ আসামি আটকের ঘটনায় ডিবি পুলিশের ওপর হামলা, মারপিট ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৯ জুন) রাতে উপজেলার চরদিয়াড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদের দুই ভাতিজাসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১০ জুন) রাতে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এস আই আলহাজ আলী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, গত রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের চরদিয়াড় এলাকায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) একটি মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ১০০ বোতল ফেনসিডিলসহ জুয়েল রানা নামে একজনকে আটক করে। পরে উদ্ধারকৃত মাদক ও আসামিকে ছাড়িয়ে নিতে মাদক চক্রের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
মাদক ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি গ্রামের আব্দুল লতিফ দফাদারের ছেলে জুয়েল রানা (২১), হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন চকদিয়াড় এলাকার ছামিউল লস্করের ছেলে রনি ইসলাম (২২) ও তার ছোট ভাই মান্না লস্কর (২০), একই গ্রামের মৃত আমিরুল ইসলামের ছেলে শাহরিয়ার মাহমুদ রাজিব (৪০)।
এ মামলায় পলাতক আসামিরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সাংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী ও নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদের ভাই উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি এলাকার মৃত রবিউল চৌধুরীর ছেলে তুষন চৌধুরী (৩২) ও মিন্টু চৌধুরীর ছেলে আরজু চৌধুরী (২৫), তুপার মন্ডলের ছেলে রানিম (২৭) ও নাঈম (৩৫), চকদিয়াড় গ্রামের মৃত মালেক মন্ডলের ছেলে হাসানুল মন্ডল (৪৭), সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে মেহেদী (২৫), হামিদুল ইসলামের ছেলে আশিক (৩০), আল্লাদর্গা এলাকার শিপন ইসলামের ছেলে শাফিন (২৮), তুষার ইসলামের ছেলে তানিম (২৫), জালাল উদ্দিনের ছেলে আলী রাজ (৩৭), জ্যোতি ইসলামের ছেলে টনি (৩৫), জয়ভোগা বেলপাড়া রবিউল ইসলাম রবির ছেলে পনম (২৮)।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সাংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী ও দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদের মোবাইলে একাধিকবার কল করলে তারা ধরেননি।
দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, হামলা ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। দুই মামলায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, দৌলতপুর থানায় দুটি পৃথক মামলা করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, আমাদের তিনজন পুলিশ সদস্য আহত অবস্থায় এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।