দেশের তথ্য ডেস্ক।।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশে বিভিন্ন আকার ও দামের গরু নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। তবে কোনো হাটে না উঠলেও, ব্রাজিলের একটি গরুর দাম শুনলে চমকে উঠতে হবে। তুষার শুভ্র রঙের এই গরুর দাম ৪০ লাখ মার্কিন ডলার; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকারও বেশি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে বেশি দামের গরু ‘ভিয়াতিনা-১৯ এফআইভি মারা মুভিস’। গরুটির দেহ বৃহৎ আকৃতির আর গায়ের রঙ তুষারের মতো সাদা। এর ওজন ১১০০ কেজি (দুই হাজার ৪০০ পাউন্ডেরও বেশি)। গরুটির ওজন তার বয়সের অন্য গরুগুলোর গড় ওজনের চেয়ে দ্বিগুণ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের প্রাণকেন্দ্রের একটি মহাসড়কের পাশে গরুটির মালিকরা দুটি বিলবোর্ড লাগিয়েছেন। আর এতে তারা তাদের গরুটি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেছেন।
খামারিরা এ জাতের গরুগুলো থেকে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু সংগ্রহ করে ভ্রূণ তৈরি করে সেটি অন্য কোনো গরুর গর্ভে রেখে দেয়ার মাধ্যমে এসব জাতের গরুর উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। ভিয়াতিনা-১৯ এর ডিম্ব কোষ সংগ্রহের জন্য কেউ কেউ প্রায় আড়াই লাখ ডলার পর্যন্ত ব্যয় করেছেন।
ভিয়াতিনা-১৯ এর মালিকদের একজন নেই পেরেইরা। তিনি বলেন, ‘আমরা অভিজাত গবাদি পশু জবাই করছি না। আমরা তাদের প্রজনন করছি। আর শেষ পর্যন্ত আমরা তা পুরো বিশ্বকে খাওয়াতে যাচ্ছি।’
পেরেইরা আরও বলেন, ‘আমি মনে করি ভিয়াতানা তা পূরণ করতে সক্ষম।’
পেরেইরার মেয়ে ও পশু চিকিৎসক লরানি মার্টিন্স বলেন, ‘ভিয়াতানা একটি পরিপূর্ণ গরু। তার সেসব বৈশিষ্ট্য আছে; যা সব মালিকরা খুঁজে থাকেন।’
মার্কিন কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ব্রাজিলে লাখ লাখ গরু রয়েছে। তবে ভিয়াতিনা-১৯ এর মতো বিশাল দেহের গরুর সংখ্যা খুব কম।
দেশটির সরকার গরুর উৎপাদন বাড়িয়ে অন্যান্য দেশের নতুন নতুন মাংসের বাজার দখলে নিতে চাইছে। ব্রাজিল সরকারের এ আকাঙ্ক্ষার ফলই বলা চলে ‘ভিয়াতিনা-১৯’।