দেশের তথ্য ডেস্ক।।
গত ৩১ মে ২০২৪ তারিখ নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার কলাবাড়িয়া এলাকায় শেখ আনিচুর রহমান (৪১)’কে আধিপত্য বিস্তার এবং পূর্ব শত্রæতার জের ধরে ধাওয়া করে ইট-ভাটায় নিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হত্যাকান্ডের ঘটনায় গত ০২ জুন ২০২৪ তারিখ ভিকটিমের ভাই শেখ সোহেল রানা বাদী হয়ে নড়াগাতী থানায় ৩১ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নৃশংস এই হত্যাকান্ডটি দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয়। গ্রেফতার এড়াতে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামিগণ নিজ এলাকা ছেড়ে রাজধানী ঢাকায় আত্মগোপন করে।
র্যাব-৬ ও র্যাব-৩ এর গোয়েন্দা দল পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে র্যাব-৬ ও র্যাব-৩ এর চৌকষ আভিযানিক দল গতকাল ১০ জুন ২০২৪ তারিখ ২১০০ ঘটিকায় রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের মূলপরিকল্পনাকারী ও অন্যতম প্রধান আসামি ১। জাহিদুল শেখ (৫০), পিতা-মৃত জলিল শেখ এবং উক্ত হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত এজাহারনামীয় আসামি ২। শামীম শেখ (২৫), পিতা-আবেদ আলী শেখ, ৩। হাছানুর রহমান রিপন (৫০), পিতা-মৃত হাবিবুর রহমান @ ধোনাউল্লাহ, ৪। রাশিদুল শেখ (২৪), পিতা-তৈয়েবুর রহমান শেখ, ৫। জুলফিকার (৪৫), পিতা-মৃত হাবিবুর রহমান @ ধোনাউল্লাহ, ৬। লিটু (২৮), পিতা-শহীদ শেখ, ৭। হিটু (২৫), পিতা-শহীদ শেখ, ৮। আজিজ শেখ (২৫), পিতা-মনিরুজ্জামান, ৯। হানিফ শেখ (২৮), পিতা-মনিরুজ্জামান, ১০। মুশফিকুর রহিম (২২), পিতা-মনিরুজ্জামান, ১১। তৈয়েবুর রহমান (৫৫), পিতা-মৃত জলিল শেখ, ১২। শরিফুল শেখ (৩৮), পিতা-মৃত খোকা শেখ, ১৩। সাইফুল শেখ (৪০), পিতা-মৃত খোকা শেখ, সর্বসাং-কলাবাড়ীয়া, থানা-নড়াগাতী, জেলা-নড়াইলদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ভিকটিমের ভাই ও উক্ত মামলার বাদী শেখ সোহেল রানা কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ০২ নং ওয়ার্ডের একজন নির্বাচিত সদস্য এবং গ্রেফতারকৃত জুলফিকার তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্ধী ছিল। নির্বাচন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের দুই পক্ষের মধ্যে দা-কুমড়া সম্পর্ক ছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ভিকটিম আনিচুরকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য গ্রেফতারকৃত জাহিদুল তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যাকান্ড বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে গ্রেফতারকৃত মূল পরিকল্পনাকারী জাহিদুল তার সহযোগী হাছানুর রহমান রিপন এবং মঞ্জুর শিকদারের সহায়তায় সুপরিকল্পিতভাবে গত ৩১ মে ২০২৪ তারিখ বিকাল ১৭১০ ঘটিকায় ভিকটিমকে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে জনৈক টুকু মোল্লার ফোর ব্রাদার্স নামক ইট ভাটার ভিতরে নিয়ে যায়। ইট ভাটার ভিতরে ভিকটিম গ্রেফতারকৃত শামীম শেখ ও জুলফিকারের নেতৃত্বে রাশিদুল, রহিম, লিটু, হিটু, আজিজ, শহীদ শেখ, ইরফান শেখসহ ১২-১৩ জনের একটি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত দলকে দেখে প্রাণের ভয়ে দৌড়ে ভাটার পাশে বাঁশের বেড়া দেয়া একটি ঘরে আশ্রয় নেয়। যেখানে ওৎ পেতে ছিল গ্রেফতারকৃত হানিফের নেতৃত্বাধীন মনিরুজ্জামান, সেকন শেখ, নাইম শেখসহ ০৪-০৫ জনের একটি দল। তারা তাকে ধরতে গেলে ভিকটিম বেড়া ভেঙে পাশের জমিতে পড়ে গেলে হুকুমদাতা ওসিকুর রহমান এর নির্দেশে ও মূল পরিকল্পনাকারী জাহিদুলের নেতৃত্বে হাছানুর, শামীম শেখ, জুলফিকার, রাশিদুল ও শিহাব শেখ চাপাতি, ছ্যানদা ও রামদা দিয়ে নৃশংসভাবে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাব