বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলন : কালো টাকা বিনিয়োগ নিয়ে রিহ্যাবের সাফাই

.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক।।

 

প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিনাপ্রশ্নে কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে বাস্তবসম্মত ও সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব। যুক্তি হিসেবে সংগঠনটি বলছে, এর ফলে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে একবার কালো টাকা সাদা হলে সেই টাকা পরের বছর ৩০ শতাংশ করের আওতায় চলে আসবে। পাশাপাশি আবাসন খাতে বিনিয়োগ বাড়বে। এতে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।

রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ঘোষিত জাতীয় বাজেট ২০২৪-২০২৫’ সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিহ্যাব সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির প্রথম সহসভাপতি লায়ন এম এ আউয়াল, সহসভাপতি প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ ও সহসভাপতি (অর্থ) আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

রিহ্যাব সভাপতি বলেন, রিহ্যাবের পক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সরকারের কাছে বাজেট সংক্রান্ত দাবি দাওয়া তুলে ধরা হয়েছে এবং তা নিয়ে নানা সময় বৈঠক হয়েছে। রিহ্যাবের বাজেট প্রস্তাবনায় স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনাপ্রশ্নে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বিনাপ্রশ্নে বিনিয়োগের সুযোগ থাকায় ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা অর্থনীতির মূল ধারায় এসেছে। তাতে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা। এবারও সুযোগটি রাখায় রিহাবের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ। কারণ এ সিদ্ধান্তটি বাস্তবসম্মত ও সময় উপযোগী।

প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। তবে পরিচালনা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য বিপুল ব্যয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজস্ব আয় বাড়ছে না- এমন মন্তব্য করেন তিনি। আবাসন খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। বর্তমানে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন ব্যয় অনেক বেশি। সব মিলিয়ে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩০ শতাংশ। এই ব্যয় কমিয়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করার অনুরোধ করেন তিনি।

রিহাবের সভাপতির ভাষ্য, রেজিস্ট্রেশন ব্যয় কম হলে ক্রেতারা জমির সঠিক মূল্য দেখাতে উৎসাহিত হবে। ফলে অপ্রদর্শিত অর্থ তৈরি হওয়া স্বাভাবিকভাবে কমে আসবে। তার যুক্তি, অর্থনীতিতে যে বিপুল পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থ যুক্ত হচ্ছে এজন্যই এই নিবন্ধন ব্যয় অনেকটা দায়ী। এ নিবন্ধন ব্যয় বিশ্বের মধেও সবচেয়ে বেশি। তাই নিবন্ধন ব্যয় কমলে ফ্ল্যাট ও প্লট বিক্রি বাড়বে। তাতে অপ্রদর্শিত অর্থ সৃষ্টি হওয়া কমে যাবে।

Share this post

PinIt
scroll to top