দেশের তথ্য ডেস্ক।।
ঝিনাইদহ শহরে প্রতিদিন তীব্র যানজট হচ্ছে। ১০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে ৩০ মিনিটেরও বেশি। বাসিন্দারা বলছেন, শহরে অতিরিক্ত ইজিবাইক চলাচল করার কারণে যানজট বেড়ে গেছে। প্রয়োজনের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি ইজিবাইক চলাচল করছে।
এসব ইজিবাইকের সংখ্যা হবে প্রায় পাঁচ হাজারের মতো।
এদিকে ঝিনাইদহ পৌরসভার তথ্য মতে, শহরে ইজিবাইকের সংখ্যা দেড় হাজারের মতো। যানজট কমাতে পৌরসভা থেকে লাইসেন্স অনুমোদন করা হচ্ছে এসব ইজিবাইকের অনুকূলে। শহরের ভেতর যে ইজিবাইকগুলো দেখা যায়, তার অধিকাংশই বিভিন্ন গ্রাম থেকে শহরে এসে ভাড়া খাটে।
রবিবার (৯ জুন) সকাল ৯টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের প্রাণকেন্দ্র পায়রা চত্বর, এইচএসএস সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়ক, মুজিব চত্বর, হাটের রাস্তাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ইজিবাইকের যানজট। এই যানজট নিরসনে সড়কে ট্রাফিক পুলিশ লাগাতার চেষ্টা করছে।
শহরের কাঞ্চননগর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, আরাপপুর থেকে তার স্কুলে আসতে আগে সময় লাগত দশ মিনিট। এখন ইজিবাইকের যানজটে পথে রিকশায় বসে থাকতে হয় ৩০ মিনিট।
শহরের শেরেবাংলা সড়কের ওষুধ ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ বলেন, ইজিবাইকগুলো সড়কে বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে। চলতি পথে হঠাৎ করেই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পড়ে ইজিবাইক। সৃষ্টি হয় যানজটের। এ যানজট কমাতে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে নিশ্চুপ বসে রয়েছে।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহের ট্রাফিক পরিদর্শক গোলাম মোর্শেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক-অদক্ষ ইজিবাইকচালকদের কারণেই সড়কে যানজট হচ্ছে।
ঘটছে ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনা। ইজিবাইকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে যানজট কমানো এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজলের ব্যক্তিগত মোবাইলে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তার কার্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।