খুলনার তিন উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩৪ শতাংশ

sk-05062024-10-1.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদক |

০৬ জুন ২০২৪

খুলনার তিনটিসহ গতকাল বুধবার ৬০ উপজেলায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ৩৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ভোট নিয়ে কমিশন সন্তুষ্ট। কারণ এবারের উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। বড় ধরনের কোনো সহিংসতা নেই।

সরেজমিনে খুলনার তিনটি উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে পরিদর্শন করে উৎসাহ ব্যাঞ্জক ভোটার উপস্থিতি চোখে পড়েনি।

গতকাল সকাল পৌনে ১০টার দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে দেলদার আহমেদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যেয়ে ভোটারদের উপস্থিতি খুব কম দেখা যায়। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের অলস সময় পার করতে দেখা যায়। প্রার্থীর এজেন্টরা অনেককে টেবিলের ওপর মাথা দিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।

বেলা ১১টার দিকে ১১নং কেন্দ্রের একটি ভোট কক্ষের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অনুকা ঢালী জানান, কেন্দ্রে একেক কক্ষে ৩২৪ জন করে ভোটার। ভোট গ্রহণের তিন ঘণ্টা পর একেক কক্ষে ভোট পড়ছে ২০ থেকে ৩০টা করে। আসলে আমাদের অলস সময় কাটছে।
১১নং কেন্দ্রে ভোটার ৩ হাজার ৩৭১ জন। বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। ভোট গ্রহণের প্রথম সাড়ে তিন ঘণ্টায় ওই কেন্দ্রে কয়েকটি কক্ষে ৫ শতাংশেরও কম ভোট পড়ে।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোঃ ফেরদৌস রহমান জানান, ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে হচ্ছে। তবে ভোটারের উপস্থিতি কম।
একই ভবনের অপরটি ১০নং কেন্দ্রে ৩ হাজার ৪০৮ জন ভোটারের মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৩৭২টি। ভোট পড়ার হার প্রায় ১১ শতাংশ।
১০নং কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোঃ ফারুক আক্তার জানান, ভোট দেয়া না দেয়া ভোটারের ব্যক্তিগত বিষয়। তবে সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। হয়তো দুপুরের পর উপস্থিতি বাড়তে পারে।
এছাড়া সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সাচিবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, সোয়া ১১টার দিকে ৩৩নং কেন্দ্রে কাতিয়ানাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পৌনে ১২টার দিকে ডেউয়াতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সীমিত কয়েকজন ভোটারকে দেখা যায়।
উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠাতো তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কেন্দ্রের ভেতরে ভোটার না থাকলেও কেন্দ্রের বাইরে জমজমাট অবস্থা। প্রার্থীদের সাদা কালো-রঙিন পোস্টারে চারপাশ সয়লাব। প্রায় প্রত্যেক প্রার্থীর নির্বাচনী বুথ ছিল। ভোটার স্লিপ দেয়ার পাশাপাশি সেখান থেকে ভোটারদের পান-সুপারি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। কেন্দ্রে ভোটারদের আনা-নেয়ার জন্য প্রার্থীরা ভ্যান ও ইজিবাইকের ব্যবস্থা ছিল সৌহাদ্যপূর্ণ। ভ্যানের সামনে প্রার্থীদের পোস্টার লাগানো নিরব প্রচারে সরব ছিলেন কর্মী-সমর্থকরাও।
প্রসঙ্গত, আগামী ৯ জুন খুলনার ডুমুরিয়া, কয়রা ও পাইকগাছাসহ দেশের ২০ উপজেলা নির্বাচনের মধ্যদিয়ে এবারের ভোটগ্রহণ শেষ হবে।
দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হয়েছে এবার। প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়েছে গত ৮ মে। এসব উপজেলায় গড়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রথম ধাপে বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় ২৮ জন নির্বাচিত হন।
দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলা নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হন ২২ জন। ২১ মে এই ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৮ শতাংশ। তৃতীয় ধাপে মোট ১ হাজার ১৫২ প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। ২৯ মে এই ধাপের নির্বাচনে ৩৫ শতাংশ ভোট পড়ে।

Share this post

PinIt
scroll to top