রোমানিয়ায় ইসরায়েলি দূতাবাসে ককটেল হামলা

romania-20240603193637.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক।।

 

 ইউরোপের দেশ রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে ইসরায়েলের দূতাবাসে ককটেল হামলা চালিয়েছে এক ব্যক্তি। সোমবার বুখারেস্টে এই হামলায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া হামলার ঘটনার সঙ্গে গাজা যুদ্ধের কোনো যোগসূত্র নেই বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।

রোমানিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার একজন মুখপাত্র বলেছেন, দেশের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বাহিনী ৩৪ বছর বয়সী হামলাকারীকে আটক করেছে। ওই ব্যক্তি বুখারেস্টে ইসরায়েলি দূতাবাসে মলোটভ ককটেল (পেট্রল বোমা) নিক্ষেপ করেছেন। একই সঙ্গে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।

‘‘সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বাহিনী দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিভিয়ে ফেলেছে। এর ফলে সেখানে উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’’রোমানিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি দূতাবাসে হামলাকারী ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি সিরিয়ার নাগরিক। রোমানিয়ার পুলিশের মুখপাত্র জর্জিয়ান ড্রাগন স্থানীয় টেলিভিশন ডিজি২৪ চ্যানেলকে বলেছেন, ‌‘‘তদন্তে এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দূতাবাসে হামলার ঘটনাটি গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। বরং ভিসা না পাওয়ায় ব্যক্তিগত অসন্তোষ থেকে তিনি হামলা চালিয়েছেন।’’

গত বছরের অক্টোবরে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলার পর বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলি সব দূতাবাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। গত মাসে স্টকহোমে ইসরায়েলের দূতাবাসের কাছে গুলির শব্দ শোনা যায়।

এছাড়া জানুয়ারির শেষের দিকে স্টকহোমে ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে একটি তাজা বিস্ফোক ডিভাইস ধ্বংস করে সুইডেনের বোমা স্কোয়াড। পরবর্তীতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে ওই বিস্ফোরক ডিভাইস দূতাবাসের কাছে রাখা হয়েছিল বলে জানায়। গত মার্চে নেদারল্যান্ডসের পুলিশ হেগে ইসরায়েলি দূতাবাসে জ্বলন্ত বস্তু নিক্ষেপ করেছেন সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে হামলা চালায় গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের শত শত যোদ্ধা। ওই হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ১৮৯ জন নিহত হন; যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির পরিসংখ্যান বলছে, ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ২৫২ জনকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখে হামাস। তাদের মধ্যে এখনও ১২১ জন গাজায় জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়া জিম্মিদের অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে।

হামাসের হামলার দিনই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। সাত মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে গাজায় ৩৬ হাজার ৪৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে সেখানকার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

গত বছরের অক্টোবরে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলার পর বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলি সব দূতাবাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। গত মাসে স্টকহোমে ইসরায়েলের দূতাবাসের কাছে গুলির শব্দ শোনা যায়।

এছাড়া জানুয়ারির শেষের দিকে স্টকহোমে ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে একটি তাজা বিস্ফোক ডিভাইস ধ্বংস করে সুইডেনের বোমা স্কোয়াড। পরবর্তীতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে ওই বিস্ফোরক ডিভাইস দূতাবাসের কাছে রাখা হয়েছিল বলে জানায়। গত মার্চে নেদারল্যান্ডসের পুলিশ হেগে ইসরায়েলি দূতাবাসে জ্বলন্ত বস্তু নিক্ষেপ করেছেন সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে হামলা চালায় গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের শত শত যোদ্ধা। ওই হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ১৮৯ জন নিহত হন; যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক।

 

Share this post

PinIt
scroll to top