কুয়েটে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত

Khulna-Gazette-News.-4.jpg

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর ভূতপূর্ব প্রারম্ভিক প্রতিষ্ঠান খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এর একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর ৫০ বছর পূর্তি সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপিত হয়েছে। ভৈরব-রূপসা বিধৌত এ পাদপীঠে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে

সোমবার (৩ জুন) আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের মধ্যে সকাল সোয়া ৯টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সাড়ে ৯টায় জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার। এসময় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার বলেন, “শিক্ষা ও গবেষণায় আমাদের আরো মনোনিবেশ করতে হবে। সকলের একনিষ্ঠতায় বিশ্বদরবারে কুয়েট নিশ্চয়ই অতি দ্রুত মর্যাদাকর অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে”।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া ও এ প্রতিষ্ঠানের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং কুয়েট এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ স্বাগত বক্তৃতা করেন রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান ভূঞা এবং সঞ্চালনা করেন জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সহকারী পরিচালক মনোজ কুমার মজুমদার।

বক্তৃতা শেষে অতিথিবৃন্দ বেলুন ও শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে এবং কেক কেটে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি শুরু হয়ে ফুলবাড়িগেট ঘুরে ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে প্রথম ব্যাচসহ বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীবৃন্দ, অতিথিবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে, ১৯৬৮ সালে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন এবং ১৯৭৪ সালের ৩ জুন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশেষ নির্দেশনায় একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়ে ১৯৮৬ সালের ১ জুলাই এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজী (বিআইটি), খুলনায় পরিণত হয় এবং ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।

Share this post

PinIt
scroll to top