দেশের তথ্য ডেস্ক।।
২রা জুন রবিবার, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা এলাকায়, পৌরসভার অস্থায়ী কর্মীর নামে ওয়ার্ক অর্ডার বের করিয়ে ,২৪ লক্ষ টাকারও বেশি পরিমাণ কাজের দায়িত্ব ,তাতেই বেজায় চটে গেলেন এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব ,
ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার, চন্দ্রকোনা বিধানসভার অন্তর্গত রামজীবনপুর পৌরসভা এলাকায়।
রবিবার সকালে কন্ট্রাকটার রাস্তায় কাজ করতে আসলে তাকে বাধা দেয় এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব , এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব শিবরাম দাস জানান, বড় অঙ্কের টাকা ঘাবলা করার জন্যই রামজীবনপুর পৌরসভায় এত স্থায়ী ইঞ্জিনিয়ার থাকতে, একজন অস্থায়ী কর্মীর নাম দিয়ে ওয়ার্ক অর্ডার তৈরি করে কাজ করাচ্ছে। তিনি আরো বলেন ,আমরা যখন সেই কপি দেখলাম সন্দেহ হওয়ায় কাউন্সিলর এর কাছে গিয়েছিলাম, তিনি কোন কাগজ দেখাতে পারেননি। আমরা এক্সিকিউটিভ অফিসার কে ফোনে এবং লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। কোন প্ল্যান এগ্রিমেন্ট নেই, অথচ এত বড় কাজ শুরু হচ্ছে কি করে। এখান থেকে প্রচুর অংকের টাকা ঘাবলা করার জন্যই, চুপি চুপি অস্থায়ী কর্মীর নামে কাজের অর্ডার বের করে কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতা শিবরাম দাসের।
তিনি বলেন আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি , সোমবার এক্সিকিউটিভ অফিসার আসলে, সব কাগজ দেখে তারপর কাজ শুরু করতে দেওয়া হবে ,কন্ট্রাকটার দীপক মোদক জানান ,কাজ চলছিল হঠাৎ সেই সময় ওনারা এসে বলেন এখন কাজ বন্ধ থাকবে, সেই মতো আমি আমার লেবারদের বলি কাজ বন্ধ করতে, আপাতত এখন কাজ বন্ধ রয়েছে।
এই রাস্তাটা পিছের ছিল, খারাপ হয়ে যাওয়ায় পিচ তুলে ঢালাই রাস্তা তৈরি হচ্ছিল, গ্রামবাসী জয়দেব দাস জানান ,নির্দিষ্ট কোন কাগজপত্র নেই ,তাই রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ রয়েছে। পরের দিন পঞ্চায়েত অফিসার আসলে, সব কিছু কাগজপত্র আমরা দেখব, তারপর কাজ শুরু হবে।
তবে এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পম্পা রানী দাস বলেন, অনেকদিন ধরেই শুনেছি কাজ হবে ,ভোটের জন্য বন্ধ ছিল ,এখন ভোট শেষ হয়ে গেছে, তাই হয়তো কাজ শুরু হয়েছে। আমার কাছে একটা কাগজ এসেছিল ,তবে কে কাজ করছে কিছু বৃত্তান্ত বলতে পারব না। সব কিছু চেয়ারম্যান সাহেব করেন। তাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে আগামীকাল সবকিছু বিচার করার পর শুরু হবে এই রাস্তার কাজ।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস।