দেশের তথ্য ডেস্ক।।
সাতক্ষীরায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে টাস্কফের্সের সদস্যরা পৃথক দু’টি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল সেমাই ও চানাচুর জব্দ করেন।
রোববার (২ জুন) দুপুরে সাতক্ষীরা শহরতলীর মেজোমিয়ার মোড়স্থ মেসার্স মামুন এন্ড ব্রাদার্সের সেমাই কারখানায় ও পুরাতন সাতক্ষীরার ঘোষপাড়া এলাকার ইভা এন্টারপ্রাইজের মালিকানাধীন চানাচুর কারখানায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের সেমাই ও চানাচুর উপাদনের অভিযোগে সেমাই কারখানার মালিক মেসার্স মামুন এন্ড ব্রাদার্সে মো. জিয়াউল হককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও দুই মাসের বিনাশ্রম কারদন্ড প্রাদান এবং ফ্যাক্টরী সিলগালা করে দেয়া হয়। এচাড়া চানাচুর কারখানার মালিক ইভা এন্টারপ্রাইজের শেখ আব্দুস সামাদকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান অনন্যা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর ৩৫ধারায় প্রতিষ্ঠান মালিকদেরকে এই অর্থদন্ড ও সাজা প্রদান করেন। এসময় জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা দীপংকর দত্ত সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা দীপংকর দত্ত জানান, সাতক্ষীরায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার অনুপযোগি নিম্নমানের সেমাই তৈরী করা হচ্ছে জেলা এনএসআই এর এমন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার বেলা ১টার দিকে শহরতলীর মেজোমিয়ার মোড়স্থ মেসার্স মামুন এন্ড ব্রাদার্সের সেমাই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান অনন্যা। অভিযানকালে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. জিয়াউল হককে ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা ও দুই মাসের বিনাশ্রম কারান্ড প্রদান করেন। এসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করার ব্যবস্থা না হওয় পর্যন্ত মিলের সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, বেলা ২টার দিকে পুরাতন সাতক্ষীরা ঘোষপাড়ার ইভা এন্টারপ্রাইজে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চানাচুর তৈরীর অভিযোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান অনন্যা অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কারখানার মালিক শেখ আব্দুস সামাদকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরবর্তীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্ধারিত নিয়মে খাদ্যদ্রব্য প্রস্ততু ও পরিবেশন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মুচলেকা প্রদান করেন প্রতিষ্ঠানের মালিক। একইসাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করার ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত কারখানার সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়।