দেশের তথ্য ডেস্ক।।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি এয়ারক্রাফটে আগুনের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২ জুন) বেলা ১১টায় ৫০ জন ডামিযাত্রী ও ক্রুসহ এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
মহড়ায় উড়োজাহাজে আগুন দেওয়ার পর মুহূর্তের মধ্যেই সেখানে শাহজালাল বিমানবন্দর ফায়ার শাখার দুইটি অগ্নিনির্বাপক গাড়ি, একটি অ্যাম্বুলেন্স, বিমানবাহিনীর একটি অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, মেডিকেল টিম, উদ্ধারকর্মীসহ একটি বেল-২১২ মডেলের সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ হেলিকপ্টার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ও একটি অ্যাম্বুলেন্স উপস্থিত হয়।পাশাপাশি পুরো দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গুরুতর আহত একজন যাত্রীকে হেলিকপ্টারে করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানোর ট্রায়াল দেওয়া হয়। দুর্ঘটনায় আহত ১৯ যাত্রীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও জাহানারা ক্লিনিকে পাঠানো হয় মহড়ায়।
আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (আইকাও) বিধি অনুসারে, প্রতি দুই বছর অন্তর-অন্তর সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ধরনের অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার আয়োজন করতে হয়।
এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো, জরুরি অবস্থায় সব সংস্থার তৎপরতা পরীক্ষা করা, অগ্নিনির্বাপক গাড়িসহ যন্ত্রপাতির উপযোগিতা পরীক্ষা করা এবং জাতীয় পর্যায়ে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
অনুষ্ঠানে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মুফিদুর রহমান বলেন, এ বছরই বাংলাদেশে আইকাওয়ের অডিট হবে। এই অডিটে আমরা কীভাবে এ ধরনের কার্যক্রমগুলো সম্পাদন করি, পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে তারা সেগুলো দেখবে। এছাড়া, আমরা এটাকে বাস্তবে কীভাবে করছি, আমরা সঠিকভাবে মহড়া করছি কি না, যারা অংশগ্রহণ করছে তারা কীভাবে অপারেশন করছে, এ ইউনিটের যে বিভাগগুলো আছে… সেগুলো তারা প্রত্যক্ষ করবে। সে জায়গায় আজকের মহড়াটা খুব টাইমলি ছিল এবং খুব সুন্দরভাবে এটাকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের প্রতিটি মহড়ায় আমরা আমাদের ভুল-ত্রুটিগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করি। আমাদের সিস্টেমগুলোকে আমরা রিভিউ করি। এভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ইকোনমিতে এ ধরনের মহড়া ক্যাটালিস্ট ভূমিকা রাখতে পারে। আর সেই ভূমিকাটা পালন করার জন্য আমাদের দক্ষতার প্রয়োজন আছে।
মহড়ার অন স্ক্রিন কমান্ডার ছিলেন শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আজকের এ মহড়ার উদ্দেশ্য হলো, বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করে বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা কবলিত উড়োজাহাজের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যাচাই করা।