পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ -কলারোয়ায়

16-17.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক।।

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় চার পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাতে থানা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার পুলিশ সদস্যরা হলেন, এএসআই আসলাম, কনস্টেবল মিলন, ফয়সাল ও মিজান। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনপরবর্তী একটি অভিযোগের মিমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছিল। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক সাজেদুর রহমান খাঁন চৌধুরী মজনুর নেতৃত্ব পুলিশের ওপর হামলার এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে।

কলারোয়ার যুগীখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল হাসান জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম লাল্টুর পক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ইউনিয়নে তারা একটি বিজয় মিছিল বের করেছিলেন। এতে বাধা দেন ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অজিয়ার রহমান, মিজান সরদার ও বাবুসহ পরাজিত প্রার্থীর কয়েকজন সমর্থক। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। একপর্যায়ে দু’পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়। পরবর্তীতে অজিয়ার রহমান থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর উভয়পক্ষকে থানায় ডাকা হয় বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য। এক জায়গায় বসার আগেই মজনু চৌধুরীর নেতৃত্বে তার লোকজন আস্ফালনমূলক কথা বললে ওই ঘটনার সৃষ্টি হয়।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম লাল্টুর ভাগ্নে ইমরান সরদার জানান, থানায় করা অভিযোগের ভিত্তিতে দু’পক্ষই থানা চত্বরে হাজির হন। বিজয়ী চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু ও পরাজিত প্রার্থী এসএম আলতাপ হোসেন লাল্টুসহ দু’পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক মজনু চৌধুরী থানার ওসি রফিকুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে আস্ফালনমূলক কথা বলেন। ওসি তার প্রতিবাদ করলে মজনু চৌধুরী ও তার ছেলে আরিফ চৌধুরী তার দিকে তেড়ে যান। এ সময় পুলিশ সদস্যরা ওসির পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করলে মজনু চৌধুরী ও তার ছেলে আরিফ চৌধুরীর নেতৃত্বে চার পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক কিল, চড় ও ঘুষি মেরে আহত করেন।

অভিযুক্ত মজনু চৌধুরী বলেন, যুগিখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল হাসানের নেতৃত্বে পরাজিত প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুর সমর্থক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিয়ার রহমান, মিজানকে মারপিট করায় আমি থানায় একটি অভিযোগ নিয়ে গেলে পুলিশের ভূমিকা ভালো ছিল না। তাই অভিযোগটি ফিরিয়ে নিয়ে চলে আসছিলাম। সে সময় পুলিশ আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমার ছেলে ও আমাকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। পরে পুলিশ নাটক সাজিয়ে আমরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছি বলে প্রচার করে দেয়।

সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান চার পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

Share this post

PinIt
scroll to top