রামপাল প্রতিনিধিঃবাগেরহাটের রামপাল ও মোংলা এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল’র তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ ও অসহায় দুর্গতদের মাঝে ত্রান সহায়তা প্রদান করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। আগামী মাসে পর পর বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ তার পরিবারের ৩ থেকে ৪ জন সদস্যদের জন্মদিন। তাই সেই জন্মদিনের আনন্দ উৎসব পালন না করে ঘূণিঝড়ে সব কিছু হারিয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, রামপাল-মোংলার এ সকল অসহায়দের পাশে দাড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। দিয়েছেন খাদ্য সামগ্রী ত্রান সহায়তা। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুর ১২ টার দিকে মোংলার চাঁদপাই ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে এ শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে রয়েছে তেল, চাল, চিনি, লবন, চিড়া, নুডুলস, টোস্ট ও ডালসহ বেশ কয়েক প্রকারের খাদ্য সামগ্রী। বসুন্ধরা গ্রুপের জরুরী খাদ্য সহায়তা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনের সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার। এছাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তারিকুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা, চাদপাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্লা তারিকুল ইসলাম, বসুন্ধরা গ্রুপের জিএম ফয়জুর রহমান, ডিজিএম মাসুদুর রহমান সহ প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মোংলা উপজেলা কর্মকর্তা সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। একই দিন দুপুর দেড়টার দিকে রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আরো এক হাজার ৫শ জন অসহায়দের মাঝে এ ত্রান সহায়তা প্রদান করেন বসুন্ধরা গ্রুপ। প্রধান অতিথি হিসেবে অসহায়দের মাঝে খাদ্য সহায়তা তুলে দেন বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহার। এসময়, রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হক লিপন, বসুন্ধরা গ্রুপের জিএম ফয়জুর রহমান, ডিজিএম মাসুদুর রহমান সহ প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য হাবিবুর নাহারের ব্যক্তিগত সহকারি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রেদওয়ান মারুফসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দেশের অন্যান্য এলাকায়ও বন্যা দূর্গতদের পাশে থেকে ত্রান সহায়তা প্রদান করবে বলেও জানায় বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিনিধিরা।
বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহার বলেন, প্রাকৃতিক ঘূর্ণিঝড়ে এ দুই উপজেলায় ও সুন্দরবনে ব্যাপক ধ্বংশযজ্ঞ চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এতে এ অঞ্চলের মানুষের ক্ষতির পাশাপাশী বনের বনজ ও প্রানীকুলের অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে। মানুষের জানের ক্ষতি না হলেও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সুন্দরবনের গাছপালাসহ অসংখ্য বন্যপ্রানীর মৃত্যু হয়েছে। যা পুষিয়ে উঠতে কয়েক বছর সময় লাগবে। এ মহাবিপদের সময় সরকারের পাশাপাশী বন্যা দুর্গতদের পাশে এসে দাড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। আমদের পক্ষ থেকে অভিন্দন ও তাদের স্বাগত জানাই এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য। আশা করি আগামীতেও বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান সহ তার লোকজন সব সময় আমাদের পাশে থাকবে এ প্রত্যাশা রাখি।