অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান বলেছেন, কয়রাবাসীর দুঃখ-দুর্দশা অতিদ্রুত দূর করা হবে। এজন্য আগামী ২জুন আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করে একটি পরিকল্পনা তৈরি করবো। এতে কয়রাবাসী বিভিন্ন সময়ের দূর্যোগের ক্ষতি ও এই সময়ের বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। বুধবার সকালে কয়রা উপজেলা সদরের কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয় চত্বরে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন তুমি দূর্গত এলাকায় গিয়ে মানুষের কাছে আমার সালাম পৌঁছে দিবে। কয়রায় নেমে দূর্গত মানুষের সঙ্গে কথা বলবে। আমি হেলিকপ্টারে বসে বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার দূর্গত এলাকাগুলো দেখেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শুধু কয়রায় নেমে আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি। কয়রার মানুষের দুঃখ কষ্টের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী জানেন। তিনি সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রেমালে এলাকাভিত্তিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তার কাছে দাখিল করার জন্য। সুতরাং আপনাদের আশাহত হওয়ার কিছু নেই। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আপনাদের পাশে আছেন। ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল চলে গেছে। কিন্তু মানুষের দূর্ভোগ রয়ে গেছে। কয়রার মানুষের ঘর ভেঙেছে, বেড়িবাঁধ, মৎস্য ঘের নষ্ট হয়েছে, বিশুদ্ধ পানির দরকার। এখানকার মানুষের দাবিগুলো আমি লিখে নিয়েছি। এগুলো প্রধানমন্ত্রীকে জানাবো। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনাদের সমস্যাগুলো সম্মিলিতভাবে পর্যায়ক্রমে সমাধান করে দেব, এই আশ্বাস দিচ্ছি। প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান বলেন, আমরা সব মন্ত্রণালয় মিলে বিভিন্ন রকম কাজ করায় সর্বনিম্ন ক্ষয়ক্ষতির মধ্য দিয়ে এতো বড় একটি দূর্যোগ মোকাবেলা করতে পেরেছি। গত সোমবার যখন আমাদের এখানে দূর্যোগ হয়েছে, তখন আমেরিকা ও ভারতেও দূর্যোগ আঘাত হেনেছে।
আমাদের তুলনায় অন্যান্য দেশে দূর্যোগে ক্ষতি বেশি হয়েছে। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় শুধু বাংলাদেশের নয়, অন্যান্য দেশর দুঃসময় তাদের পাশে দাঁড়ায়। এর আগে আমরা নেপাল ও তুরস্কের দূর্যোগে তাদের সহায়তা করে প্রশংসিত হয়েছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সাংসদ মোঃ রশীদুজ্জামান, ভোলা-৪ আসনের সাংসদ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল ইসলাম প্রমুখ।