দেশের তথ্য ডেস্ক।।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় গভীর রাতে প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে এক বৃদ্ধা ও তার নাতিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই বৃদ্ধার আরও এক নাতনি গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেকে) নেওয়া হয়েছে।
হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসা গ্রামের বকাউল বাড়িতে সোমবার রাত ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, ওই এলাকার সিরাজ উদ্দিনের স্ত্রী হামিদুন্নেছা (৭০) ও তার নাতি আরাফাত হোসেন (১২)। অপর আহত নাতনির নাম হালিমা আক্তার মিম। মিম শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আরাফাত একই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। মিম ও আরাফাত চাচাত ভাইবোন।
নিহত বৃদ্ধার ছোট ছেলের স্ত্রী জানান, হামিদুন্নেছার তিন ছেলে প্রবাসী। তিন ছেলের স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তারা ওই বাড়িতে থাকতেন। সোমবার রাতে নাতি–নাতনিদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন শাশুড়ি। এ সময় বোরকা পরে এক যুবক দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে হামিদুন্নেছা নিহত হন। আরাফাত হোসেনকে
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হালিমা আক্তার মিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আবদুল গণি নামে ওই বাড়ির একজন বলেন, হত্যার পেছনে দুটি কারণ থাকতে পারে। একটি মিমকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করেছে পরিবার। অন্যটি গ্রামের কয়েকজন তাদের ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. অরুণ বলেন, পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরিবারে তিন পুরুষ সদস্য প্রবাসে থাকে। বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। আর নাতি-নাতনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর নাতি মারা যায়। তার জিহ্বা কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ বলেন, ঘটনাস্থলে পিবিআই ও পুলিশের তদন্ত টিম কাজ করছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে বলেন, এটি ডাকাতির ঘটনা হতে পারে না। হত্যার পেছনে তিনটি কারণ থাকতে পারে। সেসব সূত্র ধরে তদন্ত কাজ চলছে।