দেশের তথ্য ডেস্ক।।
ভিকটম আখলিমা বেগমদের সাথে আসামীদের জমি জমা নিয়ে দির্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। গত ০৩/০৫/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ০৯.১৫ ঘটিকার সময় খুলনা সদর থানাধীন নতুন বাজার ওয়াপদা বেড়িবাধ রোডস্থ মোশারফ গলির ভিতর ভিকটিমের জমির দেওয়াল এর উপর রাজমিস্ত্রীদ্বারা পূনরায় ইট দিয়ে দেওয়াল তোলার সময় পূর্বের শত্রূতার জের ধরে আসামীরা ভিকটিমকে উল্টাপাল্টা গালিগালাজ করে। ভিকটিম গালিগালাজ না করার জন্য নিষেধ করলে আসামীরা ভিকটিমকে কোন কর্নপাত না করে এলোপাতারী কিল-ঘুষি, চড়-থাপ্পড়, লাথি মারে এবং ভিকটিম ডাকি চিৎকার করলে আশে পাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে। ভিকটিম শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরায় স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা প্রদান করান। গত ০৫/০৫/২০২৪ তারিখ পূনরায় ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পরায় চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে মৃত ঘোষনা করেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের ছেলে বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনার পর থেকে আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।
গত ২৫ মে ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ১৯.০৫ ঘটিকার সময় র্যাব-৬, (স্পেশাল কোম্পানি) এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, আখলিমা হত্যা মামলার ০১ নং প্রধান আসামী খুলনা জেলার রূপসা থানায় অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে অভিযানিক দলটি ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্দেশ্যে খুলনা জেলার রূপসা থানাধীন রূপসা খেয়াঘাট এলাকা হতে আখলিমা হত্যা মামলার প্রধান আসামী ১। মোঃ শহিদুল ইসলাম (৪৫), পিতা-সোবাহান, সাং-নতুন বাজার ওয়াপদা বেড়িবাঁধ, মোশারফ গলি, থানা-খুলনা সদর, জেলা-খুলনাকে গ্রেফতার করেন। প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে উক্ত আসামী হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে কেএমপি খুলনার খুলনা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।