বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্রসহ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ আটক ১২

detention-20240523165513.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক।।

 

পটুয়াখালীর বাউফলে বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্রসহ কনকদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিজান কাজী (২৪) ও তার ছোট ভাই সিয়াম কাজীসহ (১৯) কিশোর গ্যাংয়ের ১০ জন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্লাস্টিকের বস্তাভর্তি বিপুল পরিমাণ রামদা, গাছ কাটার দা, লোহার রড, স্টিলের পাইপ ও লাঠিসোঁটা উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (২২ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কনকদিয়া বাজারের একটি বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। সিজান কাজী ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মিজান কাজীর ছেলে।

এদিকে অপরাধীদের তথ্য ও ফুটেজ নিতে গণমাধ্যমকর্মীরা রাতে বাউফল থানায় গেলে পুলিশ নিষেধ করে। থানার ডিউটি অফিসার এএসআই কাউসার জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়া তাদের মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার অনুমতি নেই। ওসির অনুমতি ছাড়া অস্ত্র বা আসামিদের ছবিও দেওয়া যাবে না।

পরে গণমাধ্যমকর্মীরা তথ্যের জন্য বাউফল থানা পুলিশের ওসি শোনিত কুমার গায়েনের অফিসিয়াল ও ব্যক্তিগত নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২১ মে) বাউফল উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার পর কনকদিয়া বাজারে পরাজিত চেয়ারম্যানপ্রার্থী সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের (ঘোড়া) সমর্থক ডালিমের সঙ্গে বিজয়ী প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোশারেফ হোসেনের সমর্থক সিজানের বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে গতকাল রাতে ডালিমসহ তিনজনকে মারধর করে সিজান ও কিশোর গ্যাংয়ের কয়েকজন সদস্য। পরে রাত ১২টার দিকে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সিজানের কনকদিয়া বাজারের বাসায় অভিযান চালায় বাউফল থানা পুলিশ। এ সময় সিজানের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের আটক করা হয়।

ভুক্তভোগী ডালিম বলেন, নির্বাচনের আগের দিন (২০ মে) রাতে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক স্কুলশিক্ষক শহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। এ ঘটনায় নির্বাচনের দিন (২১ মে) গ্রেপ্তার হন তিনি। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে এমপি গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতা সিজান। আমাদের অনেক সমর্থকদের মারধর করাসহ অস্ত্র দেখিয়ে ঘর-বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিতে শুরু করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিজানের বাবা মিজান কাজী বলেন, নির্বাচনে জেতার আনন্দে ওরা পিকনিক করছিল। হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়া পুলিশ ওদের আটক করে। আমরা রাজনীতি করি। আমাদের প্রতিপক্ষ আছে। তাই নিজের আত্মরক্ষার জন্য বাসায় লাঠিসোঁটা রাখতেই হয়। আমি বাসায় থাকলে ধরতে পারতো না।

উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার খুব সকালে সাংবাদিকদের না জানিয়ে অভিযুক্তদের আদালতে পাঠানো হয়।

 

Share this post

PinIt
scroll to top