দেশের তথ্য ডেস্ক।।
ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন হাট গোপালপুর গ্রামস্থ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব -৬। ধৃত আসামী মোঃ কামরুজ্জামান(৩৩), পিতা- কাশেম বিশ্বাস, সাং-গোলপাড় পুটিয়া, পোঃ-দোগাছি, থানা ও জেলা-ঝিনাইদহ অপহরণ মামলার এজাহারভূক্ত প্রধান পলাতক আসামী। জানা যায়,
ভিকটিম ঢাকার মিরপুর মডেল থানাধীন শেওড়াপাড়া এলাকায় তার মামার ভাড়া বাসায় থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি তার সন্তানদের দেখাশোনা করতো। ভিকটিমের মমা একজন ডাক্তার। জানা যায়, ভিকটিম বর্তমানে নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। অপরদিকে অপহরণকারী বর্ণিত আসামী একজন গাড়ী চালক। আসামী (ড্রাইভার)এর মালিকের বাসা এবং ভিকটিম এর মামার বাসা একই ভবনের পাশাপাশি ফ্ল্যাটে হওয়ায় বর্ণিত আসামী নিয়মিতভাবে বিভিন্ন কাজের সুবাদে ভিকটেমের অব্স্থানকারী বাসায় যাতায়াত ছিল। আসামী বিবাহিত এবং একাধিক সন্তানের জনক। এরপরও আসামী ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এবং নিজের বিবাহের কথা গোপন রেখে গত ৯ মে রাতে বর্ণিত ডাক্তারের বাসায় প্রবেশ করতঃ ভিকটিমকে কৌশলে অপহরণ পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। অতঃপর, উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের মামা ডাক্তার মোহাম্মদ মুরাদুল ইসলাম নিজেই বাদী হয়ে মোঃ কামরুজ্জামান(৩৩) এর বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
এরই ধারাবাহিকতায়, বর্ণিত মামলার প্রধান আসামী মোঃ কামরুজ্জামান(৩৩) কে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন হাট গোপালপুর গ্রামস্থ এলাকায় অজ্ঞাত ব্যক্তির অবস্থান সনাক্ত করা হয়। অদ্য ২৩ মে ২০২৪ তারিখ র্যাব -৬ ঝিনাইদহ এর একটি আভিযানিক দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, অপহরণকারী দলের মূলহোতা বর্ণিত মোঃ কামরুজ্জামান ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন হাট গোপালপুর গ্রামস্থ নিজ এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ দিবাগত রাতে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন হাট গোপালপুর গ্রামস্থ এলাকা হতে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম মোসাঃ সুমাইয়া(১৫) কে উদ্ধারসহ উক্ত অপহরণ চক্রের মূলহোতা ১। মোঃ কামরুজ্জামান(৩৩), পিতা- কাশেম বিশ্বাস, সাং-গোলপাড় পুটিয়া, পোঃ-দোগাছি, থানা ও জেলা-ঝিনাইদহকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।গ্রেফতারকৃত আসামীকে ডিএমপি ঢাকা জেলার মিরপুর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।