কয়রা, খুলনা প্রতিনিধিঃ- কয়রায় শরিফুল ইসলামকে বেধড়ক মারপিট ও জখম করে মারাত্মক আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে সে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ছেলের হামলাকারীদের শাস্তির দাবী জানিয়ে ও এ ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার ৫নং কয়রা গ্রামের আছাদুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ নুরুনাহার খাতুন। ২১ মে বেলা ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, আমার প্রতিবেশি কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সালাউদ্দিনের সাথে আমাদের পারিবারিক ও ব্যাক্তিগত বিরোধ চলে আসছে। তারা প্রায় সময় আমার পুত্র শরিফুল ইসলামকে ভয়ভিতীসহ জীবন নাশের হুমকি দিয়ে থাকে।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ মে সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে আমার পুত্র শরিফুল ইসলাম বড়বাড়ি হতে বাড়ি ফেরার পথে সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন সহ তার সঙ্গীয় আরও কয়ক জন মিলে আমার পুত্র শরিফুলকে বেধড়ক মারপিট করে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসীর মাধ্যমে আমরা জানতে পেরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। সেখানে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে আমার পুত্র সেখানে আইসিইউতে মৃত্যুমুখী হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার গায়ে হাতে অসংখ্য কোপের দাগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমার স্বামী আছাদুল সরদার বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামী করে কয়রা থানায় মামলা রুজু করেন।
যার মামলা নং-৮/৫৩। মামলা করার পর আসামীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছিনা। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ধরনর ন্যাক্কার জনক কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় আমি কোন প্রকার জড়িত ছিলাম না। আমাকে ফাসাতে প্রতিপক্ষরা মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানী করছে।