তিন দশকে রাসেলস ভাইপারসহ দশ হাজার সাপ উদ্ধার করেছেন সাপুড়ে ঢালী

snake-1-20240518200243.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক।।

 

  চরাঞ্চলে বেড়েছে সাপের উপদ্রব। বাসা বাড়ি, ফসলি জমিসহ সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে রাসেলস ভাইপারসহ বিষধর সব সাপ। গত এক মাসেরও কম সময়ে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে পাঁচ জনের। সাপের এমন উপদ্রবে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

প্রতিদিন একাধিক সাপ উদ্ধার করে চরের বাসিন্দাদের অনেকটা আতঙ্কমুক্ত করেছেন সাপুড়ে মিনু ঢালী (৫৫)। এক জীবনে তিনি দশ হাজারের অধিক সাপ উদ্ধার করেছেন। তার উদ্ধারকৃত ভয়ংকর রাসেলস ভাইপার প্রজাতির একটি সাপ এর আগে নেওয়া হয়েছিল ভেনম রিসার্চ সেন্টারে। পেশায় একজন কৃষক হলেও মিনু ঢালী গত এক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিন ব্যস্ত সময় পার করছেন সাপ উদ্ধার কাজে।

সম্প্রতি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার ডিমএম খালী ইউনিয়নের কাজী কান্দি গ্রামের বাসিন্দা সাপুড়ে মিনু ঢালীর সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্টের এই প্রতিবেদকের।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাজী কান্দি গ্রামের আলী হোসেন ঢালীর ছোট ছেলে মিনু ঢালী পেশায় একজন কৃষক। প্রায় ৩৬ বছর আগে স্বপ্নযোগে সাপ ধরার কৌশল শিখেছেন তিনি। এরপর থেকে কোথাও সাপ দেখা গেলে মিনু ঢালীকে খবর দেওয়া হয়। মিনু ঢালীও সুনিপুণভাবে সাপ উদ্ধার করে আতঙ্কমুক্ত করেন মানুষকে। একই সঙ্গে তিনি সাপের খেলা দেখিয়ে ছেলে-বুড়ো সবাইকে আনন্দ দিয়ে থাকেন। ধীরে ধীরে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে চট্টগ্রাম, বরিশাল, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সাপ উদ্ধার করতে গিয়ে মিনু ঢালী একাধিকবার বিষধর কোবরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাপের ছোবলও খেয়েছেন।

সখিপুরের ডিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসীন হক বেপারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাপুড়ে মিনু ঢালীর সঙ্গে আমার পরিচয় দীর্ঘদিনের। প্রায় সময়ই বাজারে তার সঙ্গে আমার দেখা হয়। বর্তমান সময়ে সখিপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। মিনু ঢালী প্রতিদিন সাপ উদ্ধার করা কাজে ব্যস্ত এখন। সাপ উদ্ধার করা কৌশল তিনি দীর্ঘদিন ধরে জানেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তিনি সাপ উদ্ধার করতে গিয়েছেন। তার উদ্ধারকৃত সাপ ভেনম রিসার্চ সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। সখিপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষকে তিনি সাপের উপদ্রব থেকে রক্ষা করেছেন। আমি তাকে ধন্যবাদসহ শুভেচ্ছা জানাই।

Share this post

PinIt
scroll to top