দেশের তথ্য ডেস্ক।।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ থেকে অভিযান চালিয়ে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম। পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদে তারা জানতে পারেন, কতিপয় ডাকাত ও অস্ত্র ব্যবসায়ী মিয়ানমার থেকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে এসে অপরাধী চক্রের কাছে হস্তান্তরের জন্য সংঘবদ্ধ হয়েছে।
ওই সংবাদে উখিয়া ও টেকনাফ থানার একদল পুলিশ সদস্য অভিযান চালায়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় উখিয়া থানার মাদারবুনিয়া এলাকায় গহীন পাহাড়ে অপরাধীদের অবস্থান নির্ণয় করে টানা ৩-৪ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করে মোস্তাকসহ অস্ত্র ব্যবসায়ী রবি আলম, কাশেম এবং মোস্তাকের স্ত্রীকে ২টি ওয়ান শুটার গান (এলজি), ৭৭ রাউন্ড গুলি এবং ২৪টি গুলির খোসাসহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উখিয়া জালিয়াপালং ইউপির মাদারবনিয়া এলাকার মোহাম্মদ ছৈয়দের ছেলে মোস্তাক আহমদ (৩৭), মোস্তাক আহমদের স্ত্রী লতিফা আক্তার (৩৪), মৃত নুর নবীর ছেলে কাশেম ওরফে মনিয়া (৩৮), মহেশখালীর মাঝের ডেইল এলাকার আনজু মিয়ার ছেলে রবিউল আলম (২৮), শুক্করিয়া পাড়ার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. বেল্লল হোসেন (৩৮)।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তাদের দলের কতিপয় সদস্য কৌশলে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাদের পলাতক সদস্যদের নিকট আরো আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি রয়েছে।
পরে পলাতক তাদের গ্রেফতার ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য পালংখালী দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্র ব্যবসায়ী রবি আলমের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে পলাতক বেলালকে টেকনাফ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে শামলাপুর এলাকায় বালির নিচে রাখা ১টি বিদেশি এ-৩ রাইফেল, ১টি ম্যাগাজিন ও ১৫ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার মোস্তাক একাধিক ডাকাতি, অস্ত্র, মাদক মামলার আসামি এবং তার বিরুদ্ধে ৪টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মূলতবি রয়েছে।
অস্ত্র ব্যবসায়ী রবি আলম দীর্ঘদিন ধরে পালংখালী এলাকায় পাহাড়ে অবস্থান করে অস্ত্র কেনা-বেচা চালিয়ে আসছে। তার নামে মহেশখালী থানায় একাধিক অস্ত্র, মাদক, অপহরণ ও খুন মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে উখিয়া ও টেকনাফ মডেল থানায় অস্ত্র আইনে নিয়মিত ২টি মামলা রুজু করা হয়েছে। অস্ত্র ব্যবসায়ী চক্রের অপর অপরাধীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।