দেশের তথ্য ডেস্ক।।
কুমিল্লা বরুড়ায় বই ও কসমেটিক বিক্রেতা মো. আক্তারুজ্জামানকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড এবং স্বামীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। বৃহস্পতিবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোসা. হাফেজা বেগম তাসমিহা (২৮) হলেন কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার বড় লক্ষ্মীপুর গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমানের মেয়ে ও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহীন ভূঁইয়ার স্ত্রী। ৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শাহীন ভূঁইয়া (৩৫) একই গ্রামের মো. মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।
মামলার সূত্রে জানা যায়-বড় লক্ষীপুর গ্রামের প্রবাসী শাহীন ভুইয়ার স্ত্রী তাসমিয়া। স্বামীর অবর্তমানে ঐ গ্রামের আক্তারুজ্জামানকে দিয়ে বাজার খরচ করাতেন। এসময় তাসমিয়ার উপরে আক্তারুজ্জামানের কু-নজর পড়ে। পরবর্তীতে শাহীন ভুইয়া দেশে ফেরার পরও তাসমিয়াকে উত্যক্ত করতো। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে তাসমিয়া ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর স্বামী বাড়ির বাইরে থাকলে আক্তারুজ্জামানকে ঘরে ডেকে আনে। এক পর্যায়ে কাঠ দিয়ে আক্তারুজ্জামানকে পিটিয়ে হত্যা করে। লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। রাতে স্বামী-স্ত্রী মিলে লাশটি ডোবায় ফেলে দেয়। এ নিয়ে নিহতের ভাই আবুল কাসেম পরদিন ১০ অক্টোবর বরুড়া থানায় অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মোজ্জামেল হক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি মোসাঃ হাফেজা বেগম তাসমিহা ও আসামি শাহীন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করেন। আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম এবং আসামি অ্যাডভোকেট মো. ফারুক আহমেদ।