লাখ লাখ ডিম আলুর কোল্ড স্টোরে

3-11.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক।।

বগুড়ায় গত কয়েক দিন ধরে ডিমের বাজার অস্থির হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বৃদ্ধি করায় ক্রেতার নাভিশ্বাস উঠেছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে এক সপ্তাহে প্রতি পিস ডিমের দাম ২/৩ টাকা বাড়িয়েছে।

এ অবস্থায় কাহালুর মুরইলে আফরিন কোল্ড স্টোরেজ নামে হিমাগারে প্রায় পাঁচ লাখ পিস ডিমের সন্ধান পাওয়া যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেরিনা আফরোজের ভ্রাম্যমাণ আদালত বুধবার বিকালে সেখানে অভিযান চালিয়ে মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া ডিমগুলো বিক্রি করতে এক সপ্তাহের সময় দেন।

কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেরিনা আফরোজ সাংবাদিকদের বলেন, হঠাৎ করে ডিমের বাজার অস্থির হয়েছে। গোপনে খবর পাওয়া যায়, কোল্ড স্টোরেজে আলু সংরক্ষণের আড়ালে বিপুলসংখ্যক ডিম মজুদ করা হয়েছে। ডিমের কৃত্রিম সংকট করায় উপজেলার মুরইল এলাকায় আফরিন কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালানো হয়। সেখানে আলুর সঙ্গে অবৈধভাবে চার লাখ ৮৮ হাজার ৩৮৮ পিস মুরগির ডিম মজুদ রাখার প্রমাণ মেলে। এ সময় হিমাগারের মালিক খলিলুর রহমানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া অবৈধভাবে আলুর সঙ্গে মজুদ করা ডিমগুলো সাতদিনের মধ্যে বাজারে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশ অমান্য করলে হিমাগার মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় কাহালু উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুব হাসান চৌধুরী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই হিমাগারের দোতলার পশ্চিম পাশে ক্যারেটে রাখা ডিমের খামালে অনেক নষ্ট ডিম রয়েছে। শুধু তাই নয় সেখানে অনেক মেয়াদোত্তীর্ণ ডিম আছে।

তবে আফরিন কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপক মন্তেজার রহমান রাসেল বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠানে ফলমূলসহ ডিম সংরক্ষণের অনুমতি আছে।

তিনি দাবি করেন, মজুদ রাখা ডিমগুলো ব্যবসায়ীদের।

Share this post

PinIt
scroll to top