রাজশাহীর বাগানগুলোতে আম নামানো শুরু হয়েছে

14-10.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক।।

প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার মেনে রাজশাহীতে শুরু হয়েছে গাছ থেকে আম নামানো। গুটি জাত দিয়ে আম নামানো শুরু হলো। পর্যায়ক্রমে বাজারে আসবে অন্য জাতের আম, যা চলবে ২০ আগস্ট পর্যন্ত। এবার গাছে আম কম থাকায় বেশি দামে কিনতে হবে ক্রেতাকে। রপ্তানিতেও বাড়বে আমের দাম।

পরিপক্ব আম বাজারজাতে পাঁচ বছর ধরে গাছ থেকে নামানোর সূচি ঘোষণা করছে স্থানীয় প্রশাসন। সেই ক্যালেন্ডার মেনে বুধবার (১৫ মে) শুরু হয়েছে গাছ থেকে আম নামানো। জ্যৈষ্ঠের শুরুতে গুটি আম পাড়ার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে রাজশাহী জেলার আম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণ। সকাল থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকার কৃষক আম নামানো শুরু করেছেন। তবে আমের প্রধান বাজার বানেশ্বর এখনো ফাঁকা। এ বাজার জমতে শুরু হতে অপেক্ষা করতে হবে ২৫ মে পর্যন্ত।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ম্যাংগো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বুধবার থেকে সব ধরনের গুটি, ২৫ মে থেকে গোপালভোগ-রানিপছন্দ, ৩০ মে থেকে ক্ষীরশাপাতি, ২৫ মে থেকে লক্ষ্মণভোগ-লখনা, ১০ জুন থেকে ল্যাংড়া-ব্যানানা ম্যাংগো, ১৫ জুন থেকে আম্রপালি, ১৫ জুন থেকে ফজলি, ৫ জুলাই থেকে বারি-৪, ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা, ১৫ জুলাই থেকে গৌড়মতী, ২০ আগস্ট থেকে ইলামতী এবং কাটিমন ও বারি-১১ সারা বছর সংগ্রহ করা যাবে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, এ বছর রাজশাহী জেলায় ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৬০ হাজার ১৬৪ মেট্রিক টন।

রাজশাহীর পবা এলাকার চাষি আনোয়ারুল হক প্রথম দিনে আম সংগ্রহ শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘এবার আমের দাম বেশ ভালো হবে। চলতি বছরের আম সংগ্রহ শুরু করেছি। শুরুর দিনে গুটি আম সংগ্রহ করছি। এসব আম এখন পরিপক্ব হয়েছে। তাই সংগ্রহ করা যাবে।’ রাজশাহীর বানেশ্বর এলাকার চাষি রাজীব হোসেন বলেন, ‘এবার বৃষ্টি কম। আমও কম। তবে যা আম আছে এতে আশ্বিনা ও আম্রপালি বেশি। এসব আমে দাম বেশি হবে। গুটি আমের সংগ্রহ শুরু হয়েছে।’

আনোয়ারুল হক প্রথম দিনের সকালে দুটি গাছের আম সংগ্রহ করেছেন। এগুলো আচারের জন্যই বেশি ব্যবহার হয়। তবে কিছু আম আড়তে বিক্রি করবেন। এসব আম অন্তত ১২০০-১৪০০ টাকা মণ বিক্রি হবে। গতবার এ আম ৬০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মোছা. উম্মে ছালমা বলেন, ‘রাজশাহীর আম বাজারজাতকরণ শুরু হয়েছে। এটি পর্যায়ক্রমে চলবে। আমরা আশা করব ম্যাংগো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে পরিপক্ব আম কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বাজারজাত করবেন।’

Share this post

PinIt
scroll to top