বিআরটিএ কর্মকর্তা তানভীর জাল সনদের মামলায় ফাঁসলেন

21-7.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক।।

কারিগরি প্রশিক্ষণের জাল সনদ দিয়ে চাকুরি নেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) মোটরযান পরিদর্শক তানভীর আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় একই সঙ্গে বেতন-ভাতাবাবদ উত্তোলণ করা ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সোমা হোড় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি তানভীর আহমেদ ২০০৪ সালে ১১ মে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে মেকানিক্যাল এ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ৩৮টি পদের বিপরীতে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিল কোন অনুমোদিত শিক্ষাবোর্ড হতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় পাস এবং তৎসহ বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান হতে অটোমোবাইল/অটোমোটিভ ট্রেড ও কারিগরি বৃত্তিমূলক ২য় পর্ব পাস। আবেদন ও পরীক্ষার পর উত্তীর্ণ মেকানিক্যাল এ্যাসিস্ট্যান্ট পদের জন্য মেধা তালিকার ক্রমানুসারে মোট ১৩ জনের নাম সুপারিশ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ১ ডিসেম্বর আসামি তানভীর আহমেদ মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে বিআরটিএতে যোগদান করেন। কিন্তু অভিযোগ অনুসন্ধান পর্যায়ে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদে অবস্থিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অটোমোবাইল/অটোমোটিভ ট্রেড ও কারিগরি বৃত্তিমূলক ১ম ও ২য় পর্ব পাসের সনদ জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে। অর্থাৎ ওই সার্টিফিকেট ওই কলেজ থেকে ইস্যু হয়নি লিখিতভাবে জানিয়েছে।

এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, অবৈধভাবে নিয়োগ নিয়ে তানভীর আহমেদ ২০০৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯২ টাকা উত্তোলন করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধন করেছেন। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।

Share this post

PinIt
scroll to top