বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনা জেলার বটিয়াঘাটায় জমি বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে দুই ভাই বোনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা হলেন, বটিয়াঘাটা উপজেলার সুন্দরমহল এলাকার মৃত হালিম শেখের কন্যা সালমা বেগম (৪৫) ও তার ভাই মাসুদ শেখ। এ বিষয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক ও খুলনা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন,ভুক্তভোগী কল্যাণশ্রী এলাকার মৃত শহর আলী গোলদারের পুত্র নুর ইসলাম গোলদার, মৃত মসজিদ এর পুত্র রফিকুল শেখ, মৃত নেসার আলীর পুত্র ইলিয়াস শেখ, মৃত রায়েন গোলদারের পুত্র আজহারুল গোলদার, সামাদ শেখের পুত্র লুৎফর রহমান শেখ, মৃত বক্কার মোড়লের পুত্র ইয়ানজুরু মোড়ল ও বকতিয়ার জমাদ্দার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বটিয়াঘাটা উপজেলার কল্যাণশ্রী ও রুহিতমারা মৌজার জমি বিক্রি করে ও করবে বলে বিভিন্ন সময় নুর ইসলাম গোলদারের অফেরতযোগ্য পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দলিল নম্বর ৬৮১৩/২২ ও সাদা ডেমিতে লিখিত ভাবে চুক্তি করে। রফিকুল শেখকে বায়না দলিল করে দেয় যার নম্বর ৪৮৫০/১৬, ইলিয়াস শেখকে কোবলা দলিল করে দেয় যার নম্বর ৫৭৯৫/১৪, আজারুল ইসলাম গোলদারকে ২/৮/২০২৩ এ কম্পিউটার কম্পোজ কৃত বায়নাপত্র চুক্তি করে দেয়, লুৎফর রহমানকে মৌখিক ভাবে ইয়াগুরু মড়লকে মৌখিক ভাবে বক্তিয়ার জমাদ্দারকে মৌখিক ভাবে ও এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করে । যা ভুক্তভোগীরা প্রত্যেককে একে অপরের বিষয়টি জানতো না।
পরবর্তীতে যখন সালমা বেগম প্রত্যেককে জমি লিখে না দেয় তখন তারা সালমা বেগমের নিকট তাদের পাওনা টাকা/জমি ফেরত চায়। অভিযুক্ত সালমা বেগম তার আপন বড় ভাই মাসুদ শেখের সহায়তায় তাদের টাকা জমি ফেরত না দেওয়ায় তারা প্রত্যেকে বিভিন্ন সময় সালমা বেগম ও মাসুদ এর বিরুদ্ধে বটিয়াঘাটা থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের করে। তার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময়ে বটিয়াঘাটা থানায় দুই পক্ষ আইনজীবী নিয়ে বসাবসি করে। বসা বসিতে টাকা নেওয়া বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় থানা কর্তৃপক্ষ সালমা বেগম ও মাসুদ শেখকে তাদের সকলের টাকা জমি ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। যার কারণে সালমা বেগম ও মাসুদ শেখ ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগীদের হুমকি ধামকি প্রদান করে। ভুক্তভোগী নুর ইসলাম গোলদার বলেন, আমরা খুলনা জেলা প্রশাসক ও খুলনা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেছি, যাতে আমরা আমাদের সমস্যার সমাধান পেতে পারি। সালমা বেগম বলেন, আমার ও আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সবই মিথ্যা। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম হাওলাদার বলেন, আমি সালমা বেগম ও মাসুদ শেখকে অনেকবার স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে বিষয়টি সমাধান করার কথা বলেছি। কিন্তু তারা কখনো সালিশে বসতে রাজি হয়না।