দেশের তথ্য ডেস্ক।।
প্রায় ২০ দিন কেটে গেছে, এখনও খোঁজ মেলেনি ‘তারাক মেহেতা কা উল্টা চশমা’র মিস্টার সোধি অর্থাৎ গুরুচরণ সিংয়ের। ইতোমধ্যেই দিল্লি পুলিশ গুরুচরণ সিংয়ের নিখোঁজ মামলার তদন্ত শুরু করেছে। বেশ কয়েকটি তদন্তকারী দলও গঠন করা হয়েছে। তবু কোনও সন্ধানই এখনও মেলেনি অভিনেতার।
উত্তরপ্রদেশ থেকে হরিয়ানা-মহারাষ্ট্র পর্যন্ত তদন্ত হয়েছে। সম্প্রতি, দিল্লি পুলিশের একটি দল মুম্বাই পৌঁছে ‘তারাক মেহেতা কা উল্টা চশমা’র অভিনেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে যাদের গুরুচরণ সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল।
‘নিউজ ১৮’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ‘তারাক মেহেতা কা উল্টা চশমা’র প্রযোজনা টিমের সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র জানিয়েছে যে, সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের একটি দল গুরচরণ সিং সম্পর্কে সেটে এসে অভিনেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তিনি কাস্টের কাছে সব ধরনের প্রশ্ন করেন এবং নিখোঁজ অভিনেতা সম্পর্কে জানার চেষ্টাও করেন।
পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজও খুঁজছেন, যাতে তারা গুরুচরণ সিং সম্পর্কে কোনও সূত্র খুঁজে পেতে পারে। এই মামলা দিল্লি পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে।
সূত্রের খবর অনুসারে, টিএমকেওসি’র নির্মাতারা গুরুচরণ সিং-এর বকেয়া পরিশোধ করেননি। অভিনেতার কিছু টাকা বাকি ছিল।
কিন্তু, পুলিশ জানতে পেরেছে যে সেরকম কিছুই ছিল না যে তার জন্য এত দীর্ঘদিন বাড়ি ছাড়া থাকতে হবে অভিনেতাকে। এই ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ৫০ জনের জবানবন্দি রেকর্ড করেছে।
এদিকে নীলা ফিল্মসের প্রযোজনা প্রধান সোহিল রামানিও সেটে পুলিশের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দিল্লি পুলিশ তদন্তের জন্য আমাদের সেটে এসেছিল। তারা আশ্বস্ত করে ফিরে গিয়েছেন যে গুরুচরণ সিংয়ের কাছে আমাদের পক্ষ থেকে কোনও বকেয়া নেই।
আমরা তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করতে থাকব এবং আশাকরি তাঁকে শীগগিরই পাওয়া যাবে।’
পুলিশ সম্প্রতি জানিয়েছে, গুরুচরণ সিং ২৭টি ইমেইল এবং ১৯টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছেন। তারা আশঙ্কা করেছিলেন যে কেউ তাদের উপর নজর রাখছে এবং তাদের পর্যবেক্ষণ করছে। তবে কে এই ব্যক্তি এবং এতগুলো ইমেইল এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার অর্থ কী ছিল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ভারতীয় প্রতিবেদন অনুসারে, দিল্লির পালম এলাকা থেকে মুম্বাই যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন গুরুচরণ সিং। দিল্লির আইজিআই বিমানবন্দর থেকে মুম্বাই যাওয়ার ফ্লাইট ছিল তাঁর। কিন্তু, তিনি মুম্বাই পৌঁছাননি। পুলিশ জানায়, গুরুচরণ সিংয়ের কাছে দুটি ফোন ছিল এবং সেগুলির একটিকে তিনি পালাম এলাকায় রেখে গিয়েছেন। তাঁর শেষ কল ছিল মুম্বাই থেকে আসা এক বন্ধুর কাছে। যে তাঁকে মুম্বাই বিমানবন্দরে নিতে যাচ্ছিল বলে জানা গেছে।