ভারতে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ শুরু

10-7.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক।।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এই দফায় দেশটির ১০ রাজ্যের ৯৬টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বীরভূম ও বোলপুর এ আট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৭টা থেকে। চলবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
চতুর্থ দফায় বিরোধীদলীয় নেতা কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী, সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতা অখিলেশ যাদব, অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসিসহ ১ হাজার ৭১৭ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। তারকা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান, কীর্তি আজাদ, শত্রুঘ্ন সিনহা, মহুয়া মৈত্র, অমৃতা রায়, অভিনেত্রী শতাব্দী রায় ও বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

এবার অন্ধ্র প্রদেশের ২৫, তেলেঙ্গানার ১৭, উত্তর প্রদেশের ১৩, মহারাষ্ট্রের ১১ এবং মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের আটটি আসনে ভোট হচ্ছে। এ ছাড়া বিহারের পাঁচটি, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে চারটি করে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের একটি আসনে ভোট হচ্ছে। ৯৬টি আসনে মোট ভোটার ১৭ কোটি ৭০ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৯৭ লাখ আর নারী ৮ কোটি ৭৩ লাখ।

ভোটের দায়িত্বে আছেন ১৯ লাখেরও বেশি কর্মী।
চতুর্থ ধাপেও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। যেমন উত্তরপ্রদেশের কনৌজ আসনে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, বিহারের বেগুসরাই আসনে বিজেপি প্রার্থী গিরিরাজ সিংহ, অন্ধ্রপ্রদেশের কড়পা আসনে কংগ্রেসের ওয়াই এস শর্মিলা, ঝাড়খন্ডের খুন্তি আসনে বিজেপির অর্জুন মুণ্ডা, জম্মু-কাশ্মীর আসনে রাজ্যটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রার্থী ওমর আব্দুল্লাহ, তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদ আসনে বিজেপি প্রার্থী বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী মাধবী লতা। ওই কেন্দ্র থেকে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি প্রমুখ।

এর আগে ৫৪৩ আসনের মধ্যে তিন ধাপের ভোটে মোট ২৮৩টি আসনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

প্রথম তিন ধাপে বিক্ষিপ্ত দুয়েকটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই মিটেছে নির্বাচন হয়েছে। সাত দফার লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপ ভোট হবে আগামী ২০ মে। ষষ্ঠ ও সপ্তম দফার ভোট হবে যথাক্রমে ২৫ মে ও ১ জুন। একযোগে ফলাফল প্রকাশ হবে আগামী ৪ জুন।
তবে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার লোকসভা নির্বাচনে কাশ্মীরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিরোধী রাজনীতিকরা বলছেন, বিশেষ মর্যাদা বাতিলের কারণে অঞ্চলটিতে যে ক্ষোভ রয়েছে, বিজেপির নির্বাচন না করার সিদ্ধান্তে সেই ইঙ্গিতই মিলছে। কয়েক দশক ধরে কাশ্মীর ও নয়াদিল্লির মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৯ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের প্রায় পুরোটা প্রত্যাহার করায় পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়।

 

Share this post

PinIt
scroll to top