কেএমপি’র ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার কর্তৃক হারিয়ে যাওয়া ভিকটিম শিবানী বিশ্বাসকে অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর

441418098_756146496692988_1094538641229156560_n.jpg
গত ১০/০৫/২০২৪ তারিখ রাত্র অনুমান ১০ ঘটিকার সময় কেএমপি’র খুলনা থানার এসআই (নিঃ) কনক মন্ডল সঙ্গীয় ফোর্স সহ রাত্রিকালীন মোবাইল-০১ ডিউটি করাকালীন সময়ে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর ফোন কলের মাধ্যমে সংবাদ প্রাপ্ত হন যে, খুলনা থানা এলাকার পিকচার প্যালেস মোড়ে একজন বোবা মেয়ে অভিভাবকহীন এলোমেলো ঘোরাফেরা করছে।
তিনি তাৎক্ষনিকভাবে উক্ত স্থানে উপস্থিত হয়ে মেয়েটিকে নারী কনস্টেবল আফরোজা এর মাধ্যমে হেফাজতে গ্রহণ করেন। অতঃপর নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে ভিকটিম তার নাম সালমা বলে জানায় কিন্তু কোন ঠিকানা বলতে পারে না। পরবর্তীতে এসআই (নিঃ) কনক মন্ডল থানায় হাজির হয়ে অফিসার ইনচার্জ ও নারী শিশু ডেস্ক অফিসারকে অবহিত করে ভিকটিমকে সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে হস্তান্তর করেন।
পরবর্তীকালে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের ডিউটি অফিসার এসআই (নিঃ) আফসানা ইয়াসমিন ভিকটিমকে নাম, ঠিকানা জিজ্ঞাসা করিলে কোন উত্তর না দিলে একপর্যায়ে একটি কাগজ ও কলম দিয়ে লিখতে বললে সে তার নাম-শিবানী বিশ্বাস (২৩), পিতা-অখিল বিশ্বাস, মাতা-উন্নতি বিশ্বাস, সাং-কালিনগর, থানা-তেরখাদা, জেলা-খুলনা লিপিবদ্ধ করে। এমতাবস্থায় এসআই (নিঃ) আফসানা ইয়াসমিন তেরখাদা থানায় যোগাযোগ করে ডিউটি অফিসারের মাধ্যমে ভিকটিম শিবানীর ভাইয়ের ফোন নাম্বার সংগ্রহ করেন। ভিকটিমের ভাইয়ের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, কিছু বছর যাবত ভিকটিম মানসিকভাবে অসুস্থ্য এবং ইতোপূর্বেও কয়েকবার বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে। তিনি এ সময় ভিকটিমের ভাই ও পিতাকে সাথে নিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে আসার জন্য অনুরোধ করেন। অত:পর ভিকটিমের বাবা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে আসলে ভিকটিমের জন্মসনদ ও তার বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহপূর্বক ইনচার্জ, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোছাঃ পারভীনা খাতুন, এসআই (নিঃ) আফসানা ইয়াসমিন ও নারী কনস্টেবল রুপালী খাতুন এর উপস্থিতিতে জিডি মূলে অদ্য ১১ মে ২০২৪ তারিখ ৫:২৫ ঘটিকায় ভিকটিম কে তার বাবার জিম্মায় সুস্থ্যভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দেশের তথ্য ডেস্ক।।

Share this post

PinIt
scroll to top