দেশের তথ্য ডেস্ক।।
মুন্সীগঞ্জে মেঘনা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজের দুইদিন পর আলিফ নামে (১৬) এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে জেলার গজারিয়া উপজেলার হেসেন্দি ইউনিয়নের ভবানিপুর খেয়াঘাট এলাকায়ে মেঘনা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
আলিফ উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা গ্রামের ফয়সালের ছেলে। সে এ বছর ভবেরচর ওয়াজির আলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল।
এর আগে গত রবিবার দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় আলিফ।
আলিফের বন্ধু আরাফাত হোসেন বলেন, আমরা নয় বন্ধু মিলে গত রবিবার দুপুরে মেঘনা সেতুর নিচে নদীতে গোসল করতে যাই। আলিফ ছাড়া আমরা সবাই সাঁতার জানতাম।
নদীতে গোসলে নেমে আফিল তীরের কাছেই ছিল। স্রোতের টানে সে ডুবে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে সবাই মিলে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। দীর্ঘক্ষণেও তার কোনো হদিস না পেয়ে আমরা আলিফের পরিবার এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়।
আলিফের চাচা মাসুম প্রধান বলেন, বাসা থেকে বের হওয়ার আগে সে তার মাকে বলে এসেছিল বন্ধুরা গোসল করবে সে নদীর পাড়ে বসে সেটা দেখবে। সে সাঁতার জানে না সেজন্য পানিতে নামবে না। পরে খবর পেয়েছি, সে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। আলিফ তার বাবার মার একমাত্র ছেলে। তার পানিতে ডুবে নিখোঁজ হওয়ার খবরে বাবা-মা পাগলপ্রায়।
আজ তার মরদেহ উদ্ধার হলো। সে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। আর মাত্র ৫ দিন বাকি ফল প্রকাশের। এর মধ্যে চলে গেল আলিফ।
গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রিফাত মল্লিক বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। গত রবিবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা থেকে একটি ডুবুরি দল আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়। আমরা চেষ্টা চালিয়ে চালিয়ে তার সন্ধান পাইনি।
গজারিয়ায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিখোঁজ আলিফের মরদেহ উদ্ধার করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।