দিঘলিয়ায় পাকা রাস্তা নির্মাণে ঠিকাদারের নানা অনিয়মের অভিযোগ

438246329_1100181724425936_7628900754715204586_n.jpg

 খুলনা, নিজস্ব প্রতিবেদক।।

খুলনা এলজিইডির কইঝ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন বারাকপুর ও দিঘলিয়া ইউনিয়ণে ২ টি পাকা রাস্তা নির্মাণে ঠিকাদারের নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিম্নমানের ইট ব্যবহারের ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে।


দিঘলিয়া প্রকৌশলী দপ্তর ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলজিইডি খুলনার কইঝ প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের বারাকপুর-বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংযোগ সড়ক ও দিঘলিয়া ইউপি-থানা শিশু সদন-আহকামিয়া মাদ্রাসা-গোলারঘাট-দৌলতপুর বাজার ঘাট নামক ২টি রাস্তার নির্মাণকাজ চলমান। ওই রাস্তা ২ টি নির্মাণ কার্যাদেশ পায় খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার আইচাতীর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোঃ সিফাত এন্টারপ্রাইজ যার স্বত্ত্বাধিকারী আমীর হোসেন। ওই রাস্তা ২ টার সুপারভিশনের দায়িত্বে প্রকৌশলী এনামুল হক। ওই রাস্তা ২ টার ঠিকাদারী আমীর হোসেন পেলেও ওই রাস্তা ২ টার কাজ করছে এলাকার কিছু অপেশাদারী ব্যক্তি। খুলনা বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প কইঝ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন এ রাস্তা ২ টা নির্মাণে এলাকাবাসীর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিম্নমানের ইট, খোয়া ব্যবহারের চরম অভিযোগে সোচ্চার হয়ে ওঠে।

উল্লেখ্য নির্মাণাধীন রাস্তা ২ টার মধ্যে ফরমাইশখানা গোলাঘাট-আক্তার মেম্বরের বাড়ি পর্যন্ত ৫৬৬ মিটার (১৪৪০-২০০৬) রাস্তাটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯২ টাকা। বাকী অর্থ ব্যয় ধরা হয় বারাকপুর ইউনিয়ন সংযোগ রাস্তার। ফরমাইশখানায় নির্মাণাধীন রাস্তাটি নির্মাণে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিম্নমানের ইট ব্যবহারের ব্যপক অভিযোগ ওঠে এলাকাবাসীর মধ্যে। ফরমাইশখানা নিবাসী মোঃ মারুফুল ইসলাম মোল্লা বলেন, রাস্তায় খোয়া কম ব্যবহার করা হয়েছে। হেজিং তৈরতে ব্যবহৃত ইট খুবই নিম্নমানের। রাস্তাটি নির্মাণে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিম্নমানের ইট ব্যবহারের ব্যাপারে ফরমাইশখানা নিবাসী মোল্যা মতিয়ার রহমানের পুত্র সবুজ মোল্যা এ প্রতিবেদককে জানান, রাস্তাটি নির্মাণে বালু বেশী, খোয়া কম ব্যবহার করা হয়েছে। হেজিংয়ে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে এবং হচ্ছে। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলেও ঠিকাদারের লোকজন কারো কোনো কথা কর্ণপাত করছেনা। এ ব্যাপারে তদারককারি কর্মকর্তা প্রকৌশলী এনামুল হক এ প্রতিবেদককে জানান, ঠিকাদার রাস্তার হেজিং তৈরিতে যে ইট এনেছে তার শতকরা ২০ ভাগ ইটও ব্যবহার উপযোগী নয়। মূল ঠিকাদারকে ইতোমধ্যে ২ টা কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এর পরে চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হবে। উপজেলা প্রকৌশলী আবু তারেক সাইফুল কামাল এ প্রতিবেদককে জানান, তাদেরকে বার বার সতর্ক করা হয়েছে। তারা বন্ধের মধ্যে হুটহাট করে নিম্নমানের ইট এনে হেজিংয়ে ব্যবহার করেছে।

 

যা সম্পূর্ণ নিয়মের পরিপন্থী। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ দিঘলিয়া উপজেলা প্রকৌশলীকে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। এদিকে রাস্তা নির্মাণে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অপেশাদারী ব্যক্তিদের কাজ হস্তান্তর, কাজে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিম্নমানের ইট ব্যবহারের ব্যাপারে এলজিইডি খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আনিছুজ্জামান এ প্রতিবেদককে জানান, অনিয়ম করলে ছাড় দেওয়া হবেনা। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

 

Share this post

PinIt
scroll to top