দেশের তথ্য ডেস্ক।।
টাংগাইলের সখীপুরে বি এল এস চাষী উচ্চ বিদ্যালয়ে রাতের আঁধারে মোমবাতি জ্বালিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিল কর্তৃপক্ষ । গত ৪ মে শনিবার সন্ধ্যয় নিয়োগ কমিটি নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করে। কিছুক্ষণ পর সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে পরীক্ষা স্থগিত করে নিয়োগ কমিটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে বিদ্যুৎবিহীন একটি কক্ষে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন ৯ জন প্রার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় পরীক্ষা শুরু হয় রাত ৮ টায়। বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা শুরু করে কর্তৃপক্ষ। প্রার্থীরা আপত্তি করলেও পরীক্ষা চালিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। রাতে পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়।রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থলে সাংবাদিক উপস্থিত হলে পাঁচ মিনিটের মাথায় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষাটি স্থগিত করেন।
বিদ্যালয়ের জমিদাতা আব্দুর রশিদ বলেন,রাতের আঁধারে নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছে কিন্তু আমরা এলাকাবাসী জানিনা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের আপন ভাই এবং বোন জামাই পরীক্ষা দিচ্ছেন বলেই গোপনে নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান বলেন, আমার ভাই এবং বোন জামাই পরীক্ষা দিচ্ছেন বলে নিয়োগ পরীক্ষায় আমি কোন দায়িত্ব পালন করছি না। নিয়োগ বোর্ড নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ কার্যক্রম চালাবে। অনিয়ম হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হারুন অর রশিদ বলেন, বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে নিয়োগ পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।সকল প্রার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা) মো. আবুবকর সরকার বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় পরীক্ষা যথাসময়ে নেয়া সম্ভব হয়নি।প্রার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
