দেশের তথ্য ডেস্ক।।
গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে উল্লেখ করে জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তে ব্যাংক একীভূত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে দলটি।
গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক বলেন, ‘গ্রামগঞ্জে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও আট ঘণ্টা লোডশেডিং থাকে। আমার এলাকায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না।
সরকার বলেছে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা আছে, তাহলে বিদ্যুৎ গেল কোথায়? গ্রামে লোডশেডিং হয় না চ্যালেঞ্জ করবেন কেন?’
আইএমএফের প্রস্তাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব প্রসঙ্গে মুজিবুল হক বলেন, ‘মন্ত্রী দাম বৃদ্ধিকে বলেন সমন্বয়। এ সমন্বয় এক বছর করেছেন। আগামী তিন বছরে ১২ বার করবেন। ভর্তুকি পুরো তুললে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
দাম বৃদ্ধি না করে এমন পদক্ষেপ নেন, যেটাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে সহনীয় পর্যায়ে আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।’
বিরোধীদলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ব্যাংকগুলো সঠিকভাবে কাজ না করলেও বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এখন আইএমএফ যখন বলেছে তখন পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংককে একীভূত না করে দুর্বল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংককে একীভূত করার প্রস্তাব দেন।
জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের শর্ত পূরণের জন্য কিছু ব্যাংককে একীভূত করার জন্য ১০টি ব্যাংক চিহ্নিত করেছে। এসব ব্যাংকের দায় ৮৪ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে ৫৪ হাজার কোটি টাকা হচ্ছে খেলাপি ঋণ। ১০ বছর ধরে এই ব্যাংকগুলোর নাম এসেছে। এই ব্যাংকগুলো ঠিকভাবে কাজ করছে না।
যেমন বেসিক ব্যাংক। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো রকম বড় পদক্ষেপ নেয়নি। আজ আইএমএফ যখন বলেছে, তখন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? যারা এর জন্য দায়ী, তাদের কী হবে, সে সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো কথা বলেনি। যারা দায়ী তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।